কলকাতা: লাগামছাড়া বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার পথে নেমেছিলেন এসএসকে, এমএসকে, এএস, মাদ্রাসা ও পুরসভার শিক্ষকরা৷ লাগাতার আন্দোলনের জেরে তাঁদের দাবি কিছুটা হলেও মানতে বাধ্য হয় রাজ্য৷ অভিযোগ, গত ২৯ জুলাই শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করা হলেও এখনও জারি হয়নি বিজ্ঞপ্তি৷ পুজোর মুখে বর্ধিত বেতন না পেয়ে ফের আন্দোলন কর্মসূচিতে ঝাঁপাতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ আট বছর ধরে বঞ্চিত৷ এর প্রতিবাদে আমরা ধারাবাহিকভাবে লড়াই আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি৷ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার পর মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দাবি কিছুটা মানতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ গত ঘোষণা হয়েছিল ২৯ জুলাই৷ শিক্ষামন্ত্রী সরকারি ভাবে অনুষ্ঠান করে ঘোষণা করেছিলেন৷ ঘোষণার পরও আজ পর্যন্ত এসএসকে, এমএসকে, এএস, মাদ্রাসা ও পুরসভার শিক্ষকদের বর্ধিত বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি৷ এমনকী, জীবনের প্রথম বোনাস এখনও আমরা পায়নি৷ গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর প্রধান সচিব বলেছিলেন, ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ধিত হারে বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর হবে৷ আমরা বলেছি, দ্রুত কার্যকর করতে হবে৷ আগামী ২৮ তারিখের পর থেকে পুজোর ঘণ্টা বেজে যাবে৷ ফলে নিজেদের এত কষ্টের ফল পেতে আমরা ফের রাজপথে মানছি৷’’
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বোনাস-সহ বর্ধিত বেতন না পেলে ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৩ জেলার জেলাশাসক অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হবে৷ সমস্ত জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই জামায়াতে অংশ নেবেন বলেও সংগঠন তরফে জানানো হয়েছে৷ প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকদের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়ে জানতে চাওয়া হবে, কেন তাঁরা বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ পুজোর মুখে কেন তাঁরা বোনস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷
সংগঠনের দাবি, পুজোর আগে দাবি আদায়ের এটাই তাঁদের শেষ সুযোগ৷ ফলে আগামী ২৩ তারিখ ফের শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর প্রধান সচিবের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচিও নিয়েছেন তাঁরা৷ এর পর সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথাও জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম৷ সম কাজে সম বেতন, শিক্ষকের মর্যাদা-সহ স্থায়ীকরণ, বেতন কাঠামো, পে কমিশনের আওতায় শিক্ষকদের নিয়ে আসার দাবিতে ইতিমধ্যেই জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা৷ উত্তরবঙ্গের সাত জেলার কনভেনশন করা হয়েছে৷ হাওড়া জেলাতে বৈঠক হয়েছে৷ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বীরভূমের সিউড়িতে রয়েছে আরও একটি কর্মসূচি৷ ফলে জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়িয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি শুরু করছে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷