শিক্ষাকর্মীদের গ্রেড পে বৃদ্ধি করে আর্থিক সুরক্ষার দাবি, নতুন বছরেও জারি বঞ্চনা!

শিক্ষাকর্মীদের গ্রেড পে বৃদ্ধি করে আর্থিক সুরক্ষার দাবি, নতুন বছরেও জারি বঞ্চনা!

কলকাতা: রোপা সংশোধনীতে শিক্ষকদের পাশাপাশি এবার শিক্ষাকর্মীদেরও গ্রেড পে বৃদ্ধি করে আর্থিক সুযোগ এবং পরীক্ষার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশনের দাবি জানাল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷

মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর বক্তব্য, শিক্ষিক শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের অবদান কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যায় না সমস্ত কিছুর আড়ালে থেকে নীরবে কাজ করে যান তাঁরা,  অথচ যথাযোগ্য সম্মান পান না৷ তাই প্রাথমিক এবং গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্রুপ ডি, করণিক, লাইব্রেরীয়ানদেরও আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধি করা হোক এমনটাই দাবি জানিয়ে তিনি বলেন শিক্ষক হিসাবে এঁদের কথা  ভুলে গেলে তা অত্যন্ত অমানবিক হবে৷
তবে শুধু সম্মান নয়, কিংকরবাবুর মতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে অ-শিক্ষক কর্মীদের আর্থিক দিক দিয়ে ভীষণ ভাবে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে৷ তাঁদের যে স্কেল দেওয়া হয় তা এই দুর্মূল্যের বাজারে অত্যন্ত কম৷ আমাদের দাবি তাঁদের গ্রড পে বৃদ্ধি করে নতুন পে কমিশনে আরো একটু আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হোক৷ এক্ষেত্রে প্রাথমিক এবং গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্রুপ ডি, করণিক, লাইব্রেরীয়ানদেরও আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধি করা হোক৷ এপ্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, শিক্ষাকর্মীদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক বেশি৷ এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতাও রয়েছে তাঁদের৷ তাই  তাঁদের ক্ষেত্রেও  উপযুক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হোক৷

সম্প্রতি ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ সার্ভিস কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ কলেজ টিচার হিসেবে নিযুক্ত সমস্ত পার্ট টাইম টিচার, কন্ট্রাকচুয়াল হোল টাইম টিচার এবং গেস্ট টিচারদের  ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’-এর মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি নতুন নিয়ম অনুসারে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়৷ আর এরপরেই সরকারী স্বীকৃতি সহ, সুনির্দিষ্ট বেতন পরিকাঠামো ও ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের নিরাপত্তার দাবিতে  সোচ্চার হয়েছেন কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা৷ অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রের কর্মীদের একের পর এক দাবিতে রাজ্যের শিক্ষাদফতরের ওপরে যে চাপ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তার বলাই বাহুল্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *