প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন আপডেট করে চাকরি দিক সরকার, সোচ্চার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা

প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন আপডেট করে চাকরি দিক সরকার, সোচ্চার টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা

15f7a946c0fa5e461c74cab0bd36b212

কলকাতা:   ২০১১ ও ২০১৫ সালের উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তাঁরা৷ ২০১৬-র পর B.Ed / D.El.Ed ও সম্পূর্ণ করেন৷  কিন্তু ২০১৬ সালে উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশন আপডেট করতে না পারায় তাঁরা যোগ্য প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও ইন্টারভিউতে অংশ নিতে পারছেন না। অন্যদিকে, দীর্ঘ ৬-৭ বছর কোনও শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগও তাঁরা পাননি। তাঁদের বয়সও প্রায় শেষের দিকে৷ মানসিক দিক থেকেও বিপর্যস্ত৷ এমতাবস্থায় তাঁদের দাবি, প্রফেশনাল ট্রেনিং আপডেট করানোর পাশাপাশি পরবর্তী আপার প্রাইমারি পরীক্ষা নেওয়া আগে যেমন ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ সমস্ত প্রার্থীদের ধাপে ধাপে নিয়োগের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেভাবে তাঁদেরও নিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া হোক৷ 

আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতি পুরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, ১০০ দিন আন্দোলন পার চাকরিপ্রার্থীদের

তাঁদের অনুরোধ, ‘‘আপার প্রাইমারি টেট পাশ ও ২০১৬ পরবর্তী ট্রেন্ড প্রার্থীদের ট্রেনিং আপডেট করে সমস্ত আপার প্রাইমারি টেট পাশ প্রার্থীদের চাকুরি সুনিশ্চিত করে দীর্ঘ দিনের বেকারত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করুন। ’’ এই মর্মে নবদিশা সংগঠনের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন৷ নবশিখা সংগঠনের সভাপতি মহাদেব দুলে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, যেভাবে ২০১৪ এর প্রাইমারির ট্রেনিং ও ভ্যাকেন্সি আপডেট করে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, সেই ভাবেই আপার প্রাইমারি টেট পাশ ও ২০১৬ পরবর্তী ট্রেন্ড প্রার্থী দেরও ট্রেনিং ও ভ্যাকেন্সি আপডেট করে সমস্ত টেট পাশ প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে৷’’ 

এদিকে কারিগরি মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে অর্ধনগ্ন হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন কারিগরি শিক্ষকরা৷ তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সরকারি ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের বিরোধিতায় সোচ্চার৷ অথচ এই রাজ্যে স্কুল শিক্ষায় ২০১৩ সাল থেকে বেসরকারিকরণ করায় হাজার হাজার শিক্ষক ও লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত ধ্বংসের মুখে। রাজ্যে কারিগরী মন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত সিলেবাসে থাকা বৃত্তিমূলক বিষয়ে পাঠদানে নিযুক্ত ১৫০০জন  শিক্ষক ও ২১৬ জন শিক্ষাকর্মী কর্মহীন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *