নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে টানা লকডাউনে বেহাল দেশের অর্থনীতি৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মী ছাঁটাই৷ চাকরির বাজারে নেমেছে মন্দা৷ তবে এই দুর্দিনেও মন্দার আঁচ লাগেনি ডাটা ইঞ্জিনিয়রদের গায়ে৷
HR সলিউসন সংস্থা Manpower Group India-র শাখা Experis IT-র প্রেসিডেন্ট সঞ্জু বুল্লারকর বলেন, বিভিন্ন সংস্থায় ডাটা ইঞ্জিনিরদের চাহিদা কম বেশি অটুটই রয়েছে৷ সংস্থার ডাটা ইঞ্জিনিয়ররা থাকেন ব্যাকরুমে৷ অসংগঠিত ডাটাকে সংগঠিত করাই তাঁদের প্রধান কাজ৷ ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মেসেজ, সেন্সরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে অংখ্য তথ্য৷ ডাটা ইঞ্জিনিয়ররা বিক্ষিপ্ত ডাটাগুলিকে নির্দিষ্ট চ্যানেলের মধ্যে নিয়ে আসে, যাতে সংস্থার গ্রাহকদের কাছে তা সংগঠিত ভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়৷
আবার Jigsaw Academy –র সহ প্রতিষ্ঠাতা গৌরব বোহরা বলেন, ‘‘সকলেই এখন ডাটা ইঞ্জিনিয়র হতে চান৷ ভারতের অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানই এমন এক পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের সংস্থার সমস্ত তথ্য গুছিয়ে ফেলতে চাইছেন৷ যার উপর ম্যাজিক চালাবে ডাটা বিজ্ঞানীরা৷ তাই এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলির ডাটা ইঞ্জিনিয়র প্রয়োজন৷’’ বোহরা জানান, এর আগে ডাটা ইঞ্জিনিয়রদের থেকে ডাটা বিজ্ঞানীদের বেতন ছিল অনেক বেশি৷ কিন্তু সেই ট্রেন্ড ক্রমশ বদলে যাচ্ছে৷ অধিকাংশ সংস্থাই ডাটা সায়েন্টিস্টদের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি বেতন দিচ্ছে ডাটা ইঞ্জিনিয়রদের৷
ডাটা সায়েন্স নিয়ে কাজ করা সুন্দর বিজয়নগর কোভিড সংকটের মধ্যেই কর্ণাটক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন৷ তিনিও জানান, সকলেই ডাটা সায়েন্স এবং এআই অথবা এমএল প্রশিক্ষিত কর্মী খুঁজছেন৷ বাড়ছে ডাটা ইঞ্জিনিরদের চাহিদা৷ প্রতিটি শিল্পেই ডাটা ইঞ্জিনিয়র প্রয়োজন৷ এমনকী আগামী দিনে তাঁদের বেতন আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷