কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল সিএজি৷ ক্যাগের রিপোর্টে শিক্ষক নিয়োগে এসএসসির নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ এবার সেই স্কুল সার্ভিস কমিশনে ধরে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী৷ দেড় লক্ষ টাকা বিনিময় ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে পাকড়াও নন্দীগ্রামের যুবক৷
এসএসসির গ্রুপ-ডি’র ভেরিফিকেশনে নতি দেখিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও এক যুবক৷ সন্দেহ হওয়ায় করা হয় জেরা৷ জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় ওই চাকরিপ্রার্থীকে৷ এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারের জেরায় অপরাধ কবুল করে নেন ওই যুবক৷
শিক্ষা কর্মী নিয়োগে আজ কোনও ভেরিফিকেশন ছিলনা জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ জেরায় অভিযুক্ত ওই যুবক জানিয়েছেন, আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে মধুবাবু নামের এক ব্যক্তির থেকে ভুয়ো নিয়োগপত্র সংগ্রহ করে ওই যুবক৷ শিক্ষা কর্মী নিয়োগের ভেরিফিকেশন ভুয়ো নথি নিয়ে আজ এসএসসি দপ্তরে হাজির হন প্রার্থী৷ ভুয়া নথি দেখে সন্দেহ হয় এসএসসির চেয়ারম্যানের৷
ভেরিফিকেশনে হাতে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ওই যুবককে৷ প্রকাশ্যে অভিযুক্ত জানান, এসএসসির অফিসের পাশেই মধুবাবু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়৷ সেখানেই দেড় লক্ষ টাকা তার কাছ থেকে চাওয়া হয়৷ টাকা দিলেই নিয়োগপত্র মিলবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয় তাকে৷ টাকার বিনিময় নথি হাতে নিয়ে আজ এসএসসির অফিসে হাজিরা দেয় ওই যুবক৷ কিন্তু আজ গ্রুপ ডির ভেরিফিকেশন হওয়ার কোন দিন ছিল না৷ তবুও চাকরিপ্রার্থীকে হাজির হতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় এসএসসি চেয়ারম্যানের৷ পরে শুরু হয় জেরা৷ জেরার পর অপরাধ কবুল করেন ওই যুবক৷ পরে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে৷
কিন্তু অভিযোগ উঠছে এসএসসি দপ্তরে আশেপাশেই কিভাবে ঘুরছে জালাল চক্র৷ সল্টলেকে এসএসসির অফিসের পাশেই কীভাবে সক্রিয় হচ্ছে দালাল চক্র৷ একজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময় এইভাবে নথিপত্র দেওয়া ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক৷ বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সৌমিত্রবাবু৷