চাকরির ঘোষণায় ‘নৈতিক জয়’ দেখা হচ্ছে, পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র-রাজ্যকেই দোষ

চাকরির ঘোষণায় ‘নৈতিক জয়’ দেখা হচ্ছে, পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র-রাজ্যকেই দোষ

কলকাতা: WBGDRB-২০১৭ ওয়েটিং প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে আনএমপ্লয়েড ইয়ুথ স্ট্রাগেল কমিটি আজ এক কনভেনশন ডেকেছিল সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে। সারা দেশ জুড়ে বেকার সমস্যা থেকে শুরু করে নিয়োগে দুর্নীতি, সব ইস্যু নিয়েই আজ এই কনভেনশনে আলোচনা হয়। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়কেই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ি করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। যুব সমাজকে সরকার বোঝা বানিয়ে রেখে দিয়েছে বলেও আওয়াজ তোলা হয়। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে নিয়োগের ঘোষণা করেছে তাকে তারা নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন।

আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘের মহসচিব থাকাকালীনই পরপর ২টি মিসাইল হামলা রাশিয়ার, আহত কমপক্ষে ১০

আজ তাদের তরফ থেকে জানান হয়েছে, ২০১৬ এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের মেরিট লিস্টে নাম থাকলেও তাদের চাকরি হচ্ছে না। ৪০০ দিনের বেশি অবস্থান বিক্ষোভ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিলম্বিত বোধোদয়’ হয়েছে বলে তাদের বক্তব্য। তাদের কথায়, নিয়োগ হওয়া নিয়ে স্পষ্টতা এখনও না থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে যে নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে তা তাদের নৈতিক জয়। তাই তারা দাবি তুলছেন যাতে মেধা তালিকায় যাদের নাম আছে তারা যেন দ্রুত চাকরির নিয়োগ পত্র হাতে পায়। এই কথা বলার পরেও তাদের কটাক্ষ, উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও অনেকে এখন নির্দিষ্ট জায়গাটুকু পাচ্ছে না। তাদের প্রতি সরকার সীমাহীন বঞ্চনা এবং তুঘলকি আচরণ করছে। তাই যুব সমাজের ঠাই এখন হয়েছে রাজপথে।

তাদের আরও বক্তব্য, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার যুব সমাজের চাকরির জন্য ভাবিত নয় বলেই তারা মনে করছে। শিক্ষিত বেকাররা যখন রাস্তায় প্রতিবাদ করে তখন তাদের প্রতি পরিহাস করা হয়, চপ, পকোড়া ভাজার কথা বলা হয়। অথচ নির্বাচন এলেই কেউ বলে ২ কোটি চাকরি হবে, কেউ বলে ডবল চাকরি হবে। কিন্তু আদতে হয় না কিছুই। উলটে প্রতিবাদ করলে আদালতের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়। তাই কনভেনশন থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার।

আরও পড়ুন- রেলভবন অভিযান করেও লাভ হয়নি, সেন্টার সমস্যা মেটাতে বড় পদক্ষেপ চাকরিপ্রার্থীদের

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ৫ হাজার ২৬১ টি এসএসসি পদে চাকরি হবে। ২০১৬ সালের পর ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্য সরকার৷ শারীর শিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন করে পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। শারীর শিক্ষার জন্য ৮৫০ পদ এবং কর্ম শিক্ষার জন্য ৭৫০ পদ তৈরি করা হয়েছে বলেই জানান তিনি। এই যে নিয়োগ যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দ্রুততার সঙ্গে হবে তা নিশ্চিত করে দেন তিনি এবং এও আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, তিনি মনে করেন যারা চাকরির জন্য রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন তারাও এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে উপকৃত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 9 =