কলকাতা: এসএসসি নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। পাঁচ দিনে পড়ল অনশন৷ স্বচ্ছতা মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শূন্যপদ পূরণের দাবিতে ধর্মতলার মেয়ো রোডে অনশনে বসেছেন চাকুরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই অনশনরত প্রার্থীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অনশনরতদের মধ্যে রয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূও।
চাকুরিপ্রার্থীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের দাবি মেনে নিচ্ছে সরকার, ততক্ষণ তাঁদের এই অনশন কর্মসূচি চলবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ গত শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় প্রেস ক্লাবের সামনে বিবিধ দাবিদাওয়া নিয়ে অনশনে বসেছেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।
বিজেপির শিক্ষক সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাসের নেতৃত্বে পাঁচ দফা দাবি সংক্রান্ত ডেপুটেশন রাজ্যপালের কাছে জমা দেন আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি। দাবি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। অন্যদিকে শনিবারই অনশনরত চাকুরীপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের অসহায়তার কথা তুলে ধরেন চাকুরীপ্রার্থীরা।
এসএসসি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতিঃ
অনশনরত প্রার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যোগ্যতা থাকলে একজনও বাদ যাবেন না। আমি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদেরও ডেকেছি। যদি দেখা যায়, কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, তাহলে সেটা সংশোধন করা হবে। কিন্তু অকৃতকার্য প্রার্থীদের তো আমরা চাকরি দিতে পারি না!”
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা হলো। ওদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বললাম। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওদের এই অনশনে খুব চিন্তিত। ওদের মঙ্গলবার আসতে বলেছি। তারপর দেখি কী করা যায়। কিন্তু অকৃতকার্যকে তো আর কৃতকার্য করতে পারবো না।” তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস পেলেও
অনশন চালু রেখেছেন অনশনরত চাকুরীপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার অনশনরত চাকুরীপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা থেকে জটের সূত্রপাত। একাধিক দাবি তুলে হাই কোর্টে মামলা
করেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। যার জেরে আটকে যায় ফলপ্রকাশ। ২০১৮ সালেও কাটেনি সেই জট। তার মধ্যেই পুরনো প্যানেল থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে। তা সত্ত্বেও অনেকের চাকুরী স্থায়ী হয়নি। কেউ চাকুরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেও, চাকুরির স্থান ঠিক হয়নি। ফলে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।