২০১৮ সালে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু রাজ্যে

পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চাকরির কনফর্মেশনের জন্য আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক সরকারি ভাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যালের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

কলকাতা: পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চাকরির কনফর্মেশনের জন্য আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক সরকারি ভাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যালের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

পর্ষদের উপসচিব (অ্যাকাডেমিক) পার্থ কর্মকার বলেছেন ওই বছর যে সমস্ত শিক্ষক বা শিক্ষিকারা হাইস্কুলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের এর জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করতে হবে। প্রধান শিক্ষক তথা পরিচালনা কমিটির সম্পাদক এ নিয়ে একটি বৈঠক ডাকবেন। তারপর শুরু হবে প্রক্রিয়াকরণ। এক্ষেত্রে পরিচালন কমিটি বা স্কুলম্যানেজমেন্ট কমিটির তরফে একটি রেলিউশন নিতে হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করা থাকবে।

এরপর প্রধান শিক্ষক ডিআইয়ের কাছে একটি ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাবেন। সেখানে সাতটি বিষয় উল্লেখ থাকবে। সেগুলি হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র, অ্যাপ্রুভাল লেটার, পরিচালন কমিটির তরফে যে রেজুলেশন নেওয়া হয়েছে তার একটি ফটোকপি ও নন লিটিগেশন সার্টিফিকেট (যেখানে উল্লেখ থাকবে যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই)। এছাড়া এর মধ্যে থাকবে পরিচালন কমিটির স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সম্মতিপত্র। এরপর ডিআইকে তাঁর মত উল্লেখ করে সেই সমস্ত তথ্য পাঠাতে হবে পর্ষদকে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তা পাঠানো হবে।

সেগুলি যাচাই করে একটি কনফার্মেশন চিঠি প্রার্থীর নামে পাঠাবে পর্ষদ। সেটি প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হবে। চিঠি পাওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সার্ভিস বুকে রেকর্ড করে রাখবেন প্রধান শিক্ষক। প্রক্রিয়াটি এখানেই শেষ হবে। তবে এক্ষেত্রে একটি আশঙ্কার বিষয় হল এখনও পর্যন্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়নি। তাই তা কতদূর পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *