কলকাতা: সরকারি কর্মচারীদের স্বস্তি দিয়ে ফের বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দফতরে হাজিরার ক্ষেত্রে দেরি হলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার নতুন সংযোজন সরকারি অফিসে দু’টি শিফটে কর্মচারীদের হাজিরা ঘোষণা৷
আজ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্য সরকারি দফতরে এখন থেকে দুটি শিফটে অফিস খোলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছেন, প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত৷ দ্বিতীয় শিফটে শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত৷ ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেল পর্যন্ত জোড়া শিফটে কাজ হবে৷ সরকারি দফতরের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের কর্মচারীদের হাজিরা, ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেল পর্যন্ত স্টাগার্ড করা হয়েছে৷ দু’টি শিফট করা হয়েছে৷ যাতে কী হবে, ভিড় বাসে আসতে অসুবিধা না হয়৷ আমরা দুটি ভাগে ভাগ করেছি৷ সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত যেটা ছিল, সেটাকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে সাড়ে নটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত একটি, সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত৷ দুটো ভাগ হয়ে গেল, একসঙ্গে বাসে ভিড় টা হবে না৷’’ বেসরকারি সংস্থাগুলির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিতে আমার আবেদন, যাঁদের ক্ষমতা আছে, যাঁরা পারে, চেষ্টা করুন, বাড়ি থেকে কাজ করা যায় কিনা৷ যেখানে একান্ত উপায় নেই, বাড়ি থেকে হয় না, অফিসে আসতে হচ্ছে৷ সেখানে আসতেই হবে৷ সে ক্ষেত্রে আপনারা যদি এটা ১০০% না করে ভাগ করে দেন, কর্মীদের ৫০% শতাংশ করে দেন, এটা আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম৷ আমরা আবেদন করছি, আমরা যেমন আপনি দুটি ভাগে ভাগ করলাম, আপনারা যদি একটু ভাগাভাগি করে নেন, তাহলে একসঙ্গে ভিড় হবে না৷’’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাস চলছে৷ কিন্তু ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে৷ আর সেই কথা মাথায় রেখে সরকারি কর্মচারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে দুটি শিফটে ভাগ করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও এর আগে গণপরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় সাইকেলে অফিস যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কলকাতা পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ৷