কলকাতা: শিক্ষাক্ষেত্রে তো একাধিক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। সমস্ত ঘটনা নিয়ে বিতর্কের কোনও শেষ নেই। সুরাহা কবে মিলবে তাও কেউ জানে না। এরই মাঝে আবার নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হল। স্নাতকত্তোর এবং অনার্স স্কেলের শিক্ষকদের উচ্চ প্রাথমিকে দেখানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, বিতর্কিত ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ পুনরায় কার্যকর করানোর চেষ্টা চালান হচ্ছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
আরও পড়ুন- ED-র পর এ বার CBI! পার্থ-অর্পিতাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে শুরু প্রস্তুতি
ঠিক কী অভিযোগ? আসলে সোমবারের মধ্যেই রোস্টার অফ অ্যাপয়েনমেন্ট স্কুল গুলিকে জমা দিতে বলা হয়েছিল। শিক্ষা দফতরের নির্দেশ ছিল, কোন শিক্ষক কোন সেকশনে থাকবেন, জাতিগত বিভাজন দিয়ে তা দফতরকে জানাবে স্কুলগুলি। এতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, এই নির্দেশ দিয়েই শিক্ষা দফতর চাইছে পুরনো ‘স্টাফ প্যাটার্ন’ কার্যকর করতে। তাঁরা জানাচ্ছে, পঞ্চম থেকে দশম সেকশনে থাকা শিক্ষকদের পঞ্চম থেকে অষ্টম এবং নবম-দশম স্তরে বিভাজনের অপশন দেওয়া হচ্ছে। এতেই শিক্ষক সংগঠনগুলির তীব্র আপত্তি। সংগঠনের দাবি, স্নাতকত্তোর স্কেলে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের নর্মাল সেকশন বা উচ্চ প্রাথমিকে ভাগ করে দেওয়া ঠিক নয়।
আসলে সরকারি পোর্টালে নর্মাল সেকশনের কোনও উল্লেখ থাকছে না। তিন ক্ষেত্রে বিভাজন রয়েছে। উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, ২০১৬ সালের আগে অ্যাপ্রুভাল পাওয়া শিক্ষকদের উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে ভাগ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা। আবার মাধ্যমিক স্তরে ক্লিক করলে সেখানে গ্রাজুয়েশন আসছে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে। ফলে নর্মাল সেকশনে থেকেও যারা স্নাতকত্তোর স্কেলে বেতন পান তাঁরা গ্রাজুয়েশনে ক্লিক করতে বাধ্য হচ্ছেন।