দলের কাজে ‘ব্যস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী! ভেস্তে গেল শিক্ষকদের বৈঠক

কলকাতা: কথা দিয়েছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী৷ রাজ্যের এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ধার্য হয়েছিল দিনক্ষণ৷ আগামী শনিবার বিকেলে সেই সভায় থাকার কথা ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্ত, ২১ জুলাই দলের কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে বাতিল হল এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের বৈঠক৷ তবে, বৈঠক বাতিল হলেও

দলের কাজে ‘ব্যস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী! ভেস্তে গেল শিক্ষকদের বৈঠক

কলকাতা: কথা দিয়েছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী৷ রাজ্যের এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ধার্য হয়েছিল দিনক্ষণ৷ আগামী শনিবার বিকেলে সেই সভায় থাকার কথা ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্ত, ২১ জুলাই দলের কাজে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে বাতিল হল এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের বৈঠক৷ তবে, বৈঠক বাতিল হলেও পরবর্তীতে কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

কিন্তু, দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যায় যুঝতে থাকা শিক্ষকদেক সমস্যা সমাধান না করে মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় কাজে ব্যস্ততা নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষকদের প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রী এসএসকে, এমএসকে সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন না? শিক্ষকদের সমস্যা মেটানোর তুলনায় দলের কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল? এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা অধীর আগ্রহে ছিলেন শনিবারের বৈঠক নিয়ে৷ ভেবে ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী কিছু না কিছু সুখবর দেবেন৷ সেই আশা করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও চেয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু, তিরে তীরে এসে তরী ডুবলো শিক্ষকদেক৷

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, ‘‘আগামী ২০ জুলাই বৈঠক করবে শিক্ষা দপ্তর৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করতে৷ সেই মতো পুজোর আগেই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ এসএসকে, এমএসকে, এনআইএস শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গড়বে শিক্ষা দপ্তর৷’’

দলের কাজে ‘ব্যস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী! ভেস্তে গেল শিক্ষকদের বৈঠকসমগ্র শিক্ষা অভিযানের নিয়ম অনুযায়ী শিশু শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে বেতন বৃদ্ধির নিয়ম বহাল করতে বেতন পরিকাঠামো চালু করতে হবে৷ ২০১৩ সালের মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রকে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আওতায় আনতে হবে৷ শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের পেনশন চালু করতে হবে৷ এছাড়াও এসএসকে, এমএসকেগুলিকে নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাড়াতে হবে আগেই দাবি তোলা হয়৷ এই নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনও করেন শিক্ষকরা৷ করা হয় অনশন৷ পরে শিক্ষামন্ত্রী অনশনমঞ্চে গিয়ে শিক্ষকদের আশ্বাস দেন৷

আন্দোলনকারীদের দাবি, ত্রিপুরায় এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা ২১ হাজার টাকা বেতন পান৷ বিহারে ১৯ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হলেও বাংলা এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা পান মাত্র সাড়ে ৮ হাজার টাকা৷ কিন্তু, কেন এই বেতন বঞ্চনা? এরই প্রতিবাদে ১২ জুন বিকাশভবন অভিযান করে খোলা আকাশের নীচে অনশনে বসেন এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা৷ এই মুহূর্তে রাজ্যের গ্রামঞ্চলে ১৮ লক্ষ ২২ হাজার ৩২২ পড়ুয়ার পঠনপাঠনের দায়িত্বে রয়েছেন বাংলার এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =