শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! এবার কি কাটবে জট?

কলকাতা: সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনের সামনে চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা এক সপ্তাহের অনশন৷ রাজপথে শিক্ষকদের অনশন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়েছে পৌঁছে গিয়েছে দেশের রাজনীতিতেও৷ জাতীয় সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ পেয়েছে শিক্ষকদের অনশন অন্দোলন৷ গোটা ঘটনাটি যে রাজ্যের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে খুব ভাল বার্তা যে দেশের কাছে যাচ্ছে না, তা বুঝে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে চলেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ ২১ জুলাইয়ের পর

শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী! এবার কি কাটবে জট?

কলকাতা: সল্টলেকে উন্নয়ন ভবনের সামনে চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা এক সপ্তাহের অনশন৷ রাজপথে শিক্ষকদের অনশন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়েছে পৌঁছে গিয়েছে দেশের রাজনীতিতেও৷ জাতীয় সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ পেয়েছে শিক্ষকদের অনশন অন্দোলন৷ গোটা ঘটনাটি যে রাজ্যের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে খুব ভাল বার্তা যে দেশের কাছে যাচ্ছে না, তা বুঝে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে চলেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ ২১ জুলাইয়ের পর শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে গিয়ে কথা বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই সুর নরম করেছেন শিক্ষামন্ত্রীও৷ খুব সম্ভবত শিক্ষামন্ত্রী সোমবার অনশনমঞ্চে যেতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

শনিবার শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন না৷ শিক্ষকরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দুটোই ঠিক হচ্ছে না৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ আমি ওদের অনশন তুলে নিতে বলবো৷ আমিও ওঁদের সঙ্গে কথা বলব৷ কিন্তু, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার মধ্যে যেটা বাস্তব সেটাই হবে৷ আমার নিশ্চয়ই দেখে নেব৷ কিন্তু আমি আবার বলছি, ওরা যেন অনশন তুলে নেন৷ ওরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ দেখি, আমি নিজেও যোগাযোগ করব৷’’

সর্বভারতীয় কাঠামো মেনে বর্ধিত বেতনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ গত শনিবার থেকে অনশনে বসেছেন ১৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷

অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা বাড়লেও বাড়েনি বেতন৷  প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকার কাছাকাছি৷ অথচ সর্বভারতীয় স্তরে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ক্রম হাজার ৩৩ হাজার টাকা৷ শিক্ষামন্ত্রীর বেতন বৈষম্য মিটাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের৷ কিন্তু, এই আন্দোলন করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বদলি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ তাঁদের পুরনো জায়গায় ফেরানোর দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা৷

এই প্রসঙ্গে বেলা সাহা বলেন, ‘‘আন্দোলন করার জন্য আমাদের ১৪ জন সহকর্মীকে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে প্রতিহিংসামূলক ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে৷ তার জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আবেদন করেছি৷ যত দ্রুত সম্ভব সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া জন্য৷ তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন৷ আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন যে আমি যত দ্রুত সম্ভব হলে ব্যবস্থা করব৷ কিন্তু, তার পর বেতন বৃদ্ধি ও বদলির নিয়ে এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেননি শিক্ষামন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *