কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন এবং বিক্ষোভের শেষ নেই। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এই ইস্যু। এবার এসএসসি চেয়ারম্যান জানালেন যে, আইন মেনে কত জনকে নিয়োগ করা যায় সেটা খতিয়ে দেখছে কমিশন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। সেই বৈঠকের পরেই তিনি স্পষ্ট জানান যে আবেদনের ভিত্তিতে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হবে, কতজনকে করা হবে সেটাই খতিয়ে দেখছে কমিশন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সচিব এবং রাজ্য স্কুল শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে যারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন এবং অভিযোগ করছেন যে মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হয়নি তাদের বিষয়গুলি আগে খতিয়ে দেখা হবে। যে ধরনের অভিযোগ উঠছে তার একটা বিশ্লেষণ করা হবে এবং যদি সত্যিই সমস্যা হয়ে থাকে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নিয়ম মেনে কত জনকে নিয়োগ করা যায় সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। বিগত কয়েক মাস ধরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের একাংশ দাবি তুলে আসছে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া গলদ রয়েছে।
এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের উচ্চ আদালতে ভর্ৎসনার মুখোমুখি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসি-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন বার বার অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে? কেন বার বার চাকরি প্রার্থীদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে? এসএসসি’কে তীর্ব্র ভর্ৎসনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ অভিযোগ, এসএসসিতে সুযোগ পেয়েছে ব়্যাঙ্র ২৫৩, অথচ সুযোগ পায়নি ২১৪! এই ঘটনায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট৷ এসএসসি নিয়োগে এই অস্বচ্ছতাকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় গোলমাল রয়েছে। ২০১৯ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়। ২০২১ সালে জানা যায় ওয়েটিং লিস্টের ২৫৩ নম্বর ব়্যাঙ্ক-এর প্রার্থীরা সুযোগ পেয়েছেন। অথচ ২১৪ ব়্যাঙ্ক সুযোগ পাননি। নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে৷