আলিপুর: কাকদ্বীপের তক্তিপুর গ্রামে দারুসসালাম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি ও মিড-ডে মিল চুরির অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিসন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে৷
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, দারুসসালাম এমএসকে (সিনিয়র মাদ্রাসা) স্কুলটি ২০১১ সালে অনুমোদন পায়। অনুমোদন পাওয়ার পর যে সমস্ত শিক্ষকরা সেখানে দীর্ঘদিন পড়াতেন তাঁদের বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক সাজাহান মণ্ডল নিজের পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ করেন। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে তক্তিপুরজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রধান শিক্ষক-সহ মাদ্রাসার নতুন শিক্ষকরা স্কুলে ঢুকতে পারেন না। এই অচলাবস্থার মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কমতে থাকে। একসময় সেখানে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতো। এখন সেই সংখ্যা কমে ৬৫জন হয়েছে।
মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমলেও জেলার মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মিড-ডে মিলের খাবার তোলা হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য পোশাকও বেশি সংখ্যায় নেওয়া হয়। এখন স্কুলের টিচার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন তুফান চক্রবর্তী। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে সরকারি অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ জানানো হয়েছে। মামলার আবেদনকারী সাদ্দাম হালদার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে বলেছেন, এই মাদ্রাসা শিক্ষাদানের পরিবর্তে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে মাদ্রাসায় সুষ্ঠু পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে রয়েছেন আইনজীবী ভরসা হিম্মদ সিংকা।