নয়াদিল্লি: এবার করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই স্যোশাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ নীতিতে ফেটে পড়ল যুবা চাকরি প্রার্থীরা। রেল, এনটিপিসি বা এসএসসি' র মতো নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, রীতিমতো পরিসংখ্যান দেখিয়ে তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে ট্যুইটারে চাকরি প্রার্থীরা।
অভিযোগ, সরকার প্রার্থীদের কথায় মোটেই আমল দিচ্ছেন না। কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে অন্যান্য ইস্যুতে সরকার মনোনিবেশ করছেন অনেক বেশি। যা শিক্ষিত – প্রশিক্ষিত যুবা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ শিরদাঁড়াকে পুরোপুরি ভেঙে দিচ্ছে। অথচ, এনটিপিসি, গ্রুপ ডি বা সমগোত্রীয় পরীক্ষাগুলিতে ফর্ম বা ফি বাবদ যে সংখ্যক প্রার্থী যে পরিমাণ টাকা দিচ্ছে, তাতে কোটি কোটি টাকা সরকারের জমা হচ্ছে। অঙ্কের হিসাব দেখিয়ে ট্যুইটারে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান দেখিয়ে, চরম ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে নেওয়া সিজিএল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখনও নিয়োগ পাননি। ২০১৮ সালে নেওয়া বেশ কিছু পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি ২০২০ তেও। এমনকী, মার্চ, ২০১৯;এ রেল, এনটিপিসির নোটিফিকেশন জারি করেও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি৷
প্রার্থীদের খোলামেলা দাবি, অনুগ্রহ করে রাজনীতি বন্ধ করে ছাত্র ও প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিরাশ করা বন্ধ করুন। নিয়োগ পরীক্ষার সঠিক দিনক্ষণ ঘোষণা করুন বা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে, চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে সুবিচার করুন সরকার। তাদের মত, সুনির্দিষ্ট সময়ে যে ভাবে ভোট করে গণতান্ত্রিক বিধি রক্ষা করা হয়, একইভাবে সুনির্দিষ্ট সময়ে চাকরির ফল প্রকাশ ও নিয়োগ করে একই পথে হাঁটুক সরকার।
অসংখ্য ট্যুইটার পোস্ট #speakupforSSCRaliwaystudents এই হ্যাশট্যাগ-সহ ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে চাকরির দাবিতে যে ঝড় উঠেছে, তাতে বিপ্লবের ঝড় বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সংযতভাবে আবেদন ও এই পরিসংখ্যান ছড়িয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন আন্দোলনরত প্রার্থীরা। একই সঙ্গে বিশেষ কিছু মিডিয়াকে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে আসল ইস্যুকে সামনে না আনার জন্যও ট্যুইটারে ভালমতো দোষারোপ করা হয়েছে।