কলকাতা: অশোভন আচরণের অভিযোগে চাকরি গিয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদের৷ এমনই সাতজনের ক্ষেত্রে চাকরি বাতিলের সেই সরকারি নির্দেশ খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই সরকারি সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক সুবিচারের পরিপন্থী বলে অভিমত দিয়ে আদালত বলেছে, কী ছিল সেই অশোভন আচরণ, তা উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শুনতে হবে৷ রায় হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সেই সূত্রে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷
ঘটনা ২০১৪ সালের৷ সরকারি সিদ্ধান্তে বা মামলার নথির কোথাও বলা নেই, কী বা কেমন ছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের অশোভন আচরণ৷ তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বছরে পুজোর আগে বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সিভিক ভলান্টিয়াররা ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন৷ তারই জেরে তাঁদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি বাতিল হয়৷ ঘটনা ২০১৪ সালের হলেও মামলাকারী বাপি মণ্ডল ও অন্যরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৯ সালে। যে সরকারি মেমোর ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি যায়, তা তাঁরা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। চাকরিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানানো হয়। জবাবে রাজ্যের তরফে বলা হয়, প্রায় পাঁচ বছর পরে এঁরা আদালতে এসেছেন। স্রেফ এত দেরির কারণেই মামলাটি খারিজ হওয়া উচিত। এও বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক এই কাজ পেয়ে থাকলে, তা তাঁদের পাকাপোক্ত কোনও অধিকার দেয়নি। চুক্তিতে বলাই ছিল, যখন খুশি চাকরি বাতিল হতে পারে।