বদলে যেতে পারে স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ! ইঙ্গিত শিক্ষা দপ্তরের

কলকাতা: স্টাফ প্যাটার্নেরে নির্দেশ বাতিলের দাবিতে মামলা গড়িয়েছে আদালতে৷ এবার সেই স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগপত্র দায়েরশিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের৷ আজ শিক্ষক সংগঠনের তরফে অসঙ্গতিপূর্ণ স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও কমিশনারের কাছে দাবিপত্র পেশ করা হয়৷ শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার

বদলে যেতে পারে স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ! ইঙ্গিত শিক্ষা দপ্তরের

কলকাতা: স্টাফ প্যাটার্নেরে নির্দেশ বাতিলের দাবিতে মামলা গড়িয়েছে আদালতে৷ এবার সেই স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা দপ্তরে অভিযোগপত্র দায়েরশিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের৷ আজ শিক্ষক সংগঠনের তরফে অসঙ্গতিপূর্ণ স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও কমিশনারের কাছে দাবিপত্র পেশ করা হয়৷

শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন ও ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ স্কুল (শিক্ষা) অলোক সরকারের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা বিস্তারিত জানিয়ে আসেন৷ শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে দিয়েছেন আশ্বস্ত৷ শিক্ষকদের অসুবিধা হবে, এমন কোনও সিন্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় দপ্তরের তরফে৷

শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, অনলাইনের মাধ্যমে স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করার সময় বিভিন্ন বিষয়ের নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্ধারিত বিষয় বদলে দেওয়া হচ্ছে৷ বহু স্কুলে শিক্ষকদের উদ্বৃত্ত হিসাবেও দেখানো হচ্ছে৷ ফলে, তাঁদের বাধ্যতামূলক বদলির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের৷ আর তাতে জেনারেল বা মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও বাধা আসার আশঙ্কা থাকছে বলেও রয়েছে আশঙ্কা৷ অনুমোদন অনুযায়ী সাধারণ সেকশনে নিযুক্ত শিক্ষকদের বাধ্যতামূলকভাবে উচ্চ প্রাথমিকে নামিয়ে আনায় পদমর্যাদাগত অবনতির আশঙ্কা থাকছে৷ ক্লারিফিকেশনে সিনিয়রিটির কথা বলা থাকলেও অনলাইনে তথ্য জানানো সময় তা কার্যকরী হচ্ছে না বলেও অভিযোগ৷

বদলে যেতে পারে স্টাফ প্যাটার্নের নির্দেশ! ইঙ্গিত শিক্ষা দপ্তরের

মূলত এই সমস্যাগুলি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নজরে আনার চেষ্টা করেন শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷ এবিষয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের কাছে দাবি জানিয়েছি, শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বদের নিয়ে ওয়ার্কশপ বা আলোচনা সভার আয়োজন করা হোক৷ তারপর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে ক্লারিফিকেশন জারি করা হোক৷ আমাদের দেওয়া প্রতিটি বিষয় তাঁরা খতিয়ে দেখবেন ও প্রয়োজনে নতুন ক্লারিফিকেশন জারি করা হতে পারে৷’’

এদিন শিক্ষক সংগঠনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্যা না মেটা পর্যন্ত কোনোভাবেই শিক্ষকরা তাঁদের স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করব না৷ ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্টাফ প্যাটানের সংখ্যার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ শিক্ষাদপ্তর নিতে পারে বলে ইঙ্গিত৷ এবিষয়ে কিংকরবাবু আরও জানিয়েছেন, ‘‘অনলাইনে স্টাফ প্যাটার্ন দাখিল করার সময় যেসব শিক্ষকদের এক্সেস হিসাবে দেখানো হচ্ছে, তাঁদের নিজস্ব বিষয় কোনভাবেই বদলানো যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা আধিকারিক৷’’ এদিনের ডেপুটেশনে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী ছাড়াও সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তমাল মণ্ডল, সুলগ্না পাল, প্রবাল চক্রবর্তী ও রাজিব ঘোড়াই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *