কৃষ্ণনগর: একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই বাঙালির জীবনে চায়ের সঙ্গে আত্মার একটা যোগসূত্র আছে৷ বাঙালির আবেগ, অনুভূতি, আনন্দের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই পানীয়টি৷ তাইতো এক কাপ চায়ে চুমুক না দিয়ে বাঙালির যেমন সকাল হয় না৷ তেমনই দিনের শেষে চায়ের ঠেকে না বসলে রাতের খাবার হজম হয় না৷ চায়ের ঠেকে যেন বাঙালীর স্ট্রেস রিলিফের জায়গা৷ সোজা কথায় আমি আদমি তাঁর জীবন খুঁজে পায় এই চায়ের ঠেকে৷ শহর থেকে গ্রামে, রাস্তার ধারেই হোক বা অলিগলিতে৷ একটা চায়ের দোকান মানেই সকাল থেকে রাত লোকের আনাগোনা লেগেই থাকে৷ এমনই কোনও চায়ের দোকানে নানান স্বাদের বেকারির বিস্কুটের সঙ্গে যদি উপরি পাওনা হয় ঘুঘনি, পাউরুটি, ডিম, কলা তাহলে তো কথাই নেই৷ তাও মাত্র ২০ টাকায়৷ কি সেই আদ্যিকালের গল্প মনে হচ্ছে তো?
এতো সকালের আয়োজন৷ বিকেলে এই দোকানেই চায়ের সঙ্গে পাবেন নুন-ছোলা আর মুড়ি৷ কী ভাবছেন, যাবেন নাকি একবার? কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ষষ্ঠিতলায় গিয়ে কাউকে একবার বললেই দেখিয়ে দেবে কাঁচা পাকা চুলে সাধাসিধে প্রদীপ-কাকুর এই চায়ের দোকান৷ সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ভাইরাল ‘প্রদীপ-চাওয়ালা’৷
২০ টাকায় রুটি-ঘুঘনি, ডিম-কলা-চা! চমক দিচ্ছেন প্রদীপ-চাওয়ালা
২০ টাকায় রুটি-ঘুঘনি, ডিম-কলা-চা! চমক দিচ্ছেন প্রদীপ-চাওয়ালা
Gepostet von Aaj Bikel আজ বিকেল am Sonntag, 27. Oktober 2019
নেটপাড়ায় ভাইরাল হওয়া পর সংবাদমাধ্যমে প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, বছর তিন আগে এই চায়ের দোকান খুলেছেন তিনি৷ দিন কয়েকদিন আগে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সামান্য লাভে কুড়ি টাকার পাঁচ পদের মেনু চালু হয়েছে৷ আর তাতেই মিলেছে সাফল্য৷ জনপ্রিয়তা বললেও ভুল হবে না৷ ২০ টাকায় পাঁচ পদ চেখে দেখে তৃপ্তি ক্রেতারা৷ আর সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল হতেই দিনে দিনে দোকানে ভিড় আরও বাড়ছে৷ ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকায় মুখেও হাসি ফুটেছে সাধাসিধে প্রদীপবাবুর৷