কলকাতা: অবশেষে সটাফ প্যাটার্ন নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা বসলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রীর সচিব পর্যায়ের দুই আধিকারিক৷
ঘণ্টাখানেকের ও বশী সময় ধরে এই বৈঠকে স্টাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা ও দাবিগুলি তুলে ধরেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা৷ শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়, সটাফ প্যাটার্ন সংক্রান্ত অনলাইন মোডে বেশকিছু ত্রুটি আছে যা যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করতে হবে৷ কোনো শিক্ষককেই তার অ্যাপ্রুভাল বহির্ভূত অন্য কোনও জায়গায় দেওয়া যাবে না৷ একই সঙ্গে রোপা ২০১৯ ও TGT স্কেল নিয়েও হয় আলোচনা৷
কোন শিক্ষকের ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে বা ভবিষ্যতে প্রধান শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা যাতে না থাকে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ শিক্ষা দপ্তরকে দিতে হবে৷ কোন শিক্ষককে উদ্বৃত্ত দেখানো যাবে না৷ এখানে নামের পাশে লাল রঙের ইন্ডিকেটরটি শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে৷ প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভ্যাকেন্সি স্টেটমেন্ট সুস্পষ্টভাবে জানতে বিভ্রান্তিপূর্ণ সফটওয়্যার কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন সমিতির প্রতিনিধিরা৷
বৈঠকের পর তারা জানান, সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ স্টাফ প্যাটার্ন ছাড়াও ডিএলইডি-র সমস্যাগুলি সমাধানে তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন৷ পূর্ব মেদিনীপুর সহ যে যে জেলায় সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ডিএলএড প্রাপ্তদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না৷ সেক্ষেত্রে ডিআইদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
বাংলার শিক্ষা পোর্টাল এর গতিহীনতা, বাঁকুড়া জেলার ডিআই এর নজির বিহীন সার্কুলার, আইটিসি , ননজয়েনিং সহ প্যারা টিচার দের সমস্যা গুলি নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, সহ সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ ও তপন জানা, জার্নাল এডিটর সুব্রত বাগচি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার৷