বেতন বৈষম্যের সমাধান চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের

বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা। কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেও রাজ্য সরকারের তরফে করা হচ্ছে না কোনও পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা। তাও অভিনব উপায়ে। এদিন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ই-মেল, চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন তাঁদের দাবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাদের দাবি বিবেচনা করবেন, সেই বিষয়ে আশাবাদী শিক্ষক সংগঠন।

কলকাতা: বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা। কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেও রাজ্য সরকারের তরফে করা হচ্ছে না কোনও পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে এই সমস্যার সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকরা। তাও অভিনব উপায়ে। এদিন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ই-মেল, চিঠির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন তাঁদের দাবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাদের দাবি বিবেচনা করবেন, সেই বিষয়ে আশাবাদী শিক্ষক সংগঠন৷

রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অভিযোগ বারবারই উঠে আসছিল। বিভিন্নভাবে নিজেদের দাবি জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। এই অবস্থায় বরাবরের মতো পাশে দাঁড়াল শিক্ষক সংঠন বিজিটিএ। হাল ছাড়তে নারাজ তারা। ইতিমধ্যে পে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতে চলতি বছরের ২ মার্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট-সহ comprehensive report জমা করতে হবে পে কমিশনকে। শিক্ষক সংগঠনের তরফেও কমপ্রিহেনসিভ রিপোর্ট জমা করার কথা বলা হয়েছে। তবে তাতেও পে কমিশনের তরফে কোনও জবাব মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সামিল হতে দেখা গেল গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ই-মেল, চিঠি ও মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন শিক্ষকরা। ই-মেল, চিঠিতে বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার সমস্যার অবিলম্বে সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। শিক্ষকদের এই সমস্যার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা করবেন বলেই আশাবাদী সংগঠন। বিজিটিএ-এর তরফে রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘আমরা যা করছি, তা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করার অর্থ সরকারের বিরোধিতা করা নয়। আমরা এখনও এই বিষয়ে আশাবাদী যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দাবি মেনে নিয়ে এই বঞ্চনার অবসান ঘটাবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =