NET পরীক্ষায় বসতে বাধা, আমরণ অনশনে মাও নেতা বিক্রম

কলকাতা: প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে পরীক্ষা কেন্দ্র গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হল ধৃত মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম৷ আজ, সকালে নেট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল বিক্রমের৷ অভিযোগ, জেল থেকে তাঁকে পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে যেতে সময় নষ্ট করে জেলকর্তৃপক্ষ৷ রিপোর্টিং টাইমের পরে হাজির হওয়ার কারণে নেট পরীক্ষায় বিক্রমকে বসতে দেওয়া হয়নি৷ ৯টা ১৫ নাগাদ তার হাজির

NET পরীক্ষায় বসতে বাধা, আমরণ অনশনে মাও নেতা বিক্রম

কলকাতা: প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে পরীক্ষা কেন্দ্র গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হল ধৃত মাওবাদী নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম৷ আজ, সকালে নেট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল বিক্রমের৷ অভিযোগ, জেল থেকে তাঁকে পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে যেতে সময় নষ্ট করে জেলকর্তৃপক্ষ৷ রিপোর্টিং টাইমের পরে হাজির হওয়ার কারণে নেট পরীক্ষায় বিক্রমকে বসতে দেওয়া হয়নি৷ ৯টা ১৫ নাগাদ তার হাজির হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৩০ মিনিট পর পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির করানো হয় বিক্রমকে৷ পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, রিপোর্টিং টাইমে হাজির না হওয়ায় বাতিল হয় পরীক্ষা৷ পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে আসেন তিনি৷

পরে, নিজের ক্ষোভ সংবাদমাধ্যমে জানান বিক্রম৷ বলেন, ‘‘প্রশাসনিক উদাসীনকার কারণে আমকে পরীিক্ষায় বসতে দেওয়া হল না আমাকে৷ পরীক্ষা বসতে না পারার দায় প্রাশনের৷’’ এরপরই তিনি আমারণ অনশনের ডাক দেন৷ এমনকি, কারামন্ত্রী ও শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানান৷



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

গত পয়লা ডিসেম্বর সংশোধনাগারে বন্দি হয়ে থেকেই স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেট পরীক্ষায় বসেন ধৃত মাও নেতা বিক্রম। প্রেসিডেন্সিতে কারাবাস করা ধৃত মাও নেতা বিক্রম ওরফে অর্ণব দাম কলকাতায় ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশন কলেজে পরীক্ষা দেবন৷




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

প্রাক্তন বিচারকের ছেলে এই ধৃত মাও নেতা বিক্রম ২০১২ সালের ১৬ জুলাই পুরুলিয়ার অয্যোধ্যা পাহাড়তলির বলরামপুরের বিরামডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একে ৪৭–র মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের সুভাষগ্রামের আরএন চক্রবর্তী রোডের বাসিন্দা বিক্রম৷ ১৯৯৮ সাল থেকে নকশাল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। মেধাবী এই ধৃত মাও নেতা বারাসত প্যারীচরণ সরকার রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর নরেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশনে উচ্চমাধ্যমিক। সেখান থেকে খড়গপুর আইআইটি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অর্ণব হঠাৎ ১৯৯৮ সালে নিখোঁজ হয়ে যান আইআইটি ক্যাম্পাস থেকে। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ মাও নাশকতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনও পান তিনি। তারপর বাড়িতে দু’মাস থাকার পর আবার নিখোঁজ হয়ে যান। প্রাক্তন বিচারপতির ছেলে হয়ে যান মাও নেতা। সিপিআই(মাওবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। বিহার-ঝাড়খন্ড-ওড়িশা সীমান্ত আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক। পুরুলিয়া-পূর্ব সিংভূম-সরাইকেলা খরসোঁওয়া সীমানা জোনাল কমিটি ও পুরুলিয়ার অয্যোধ্যা স্কোয়াডের দায়িত্ব নিয়ে মাও ভিতকে মজবুত করেন এই জঙ্গলমহলে। পাতলা, ছিপছিপে, রোগাটে গড়নের বছর ৪০-এর এই ধৃত মাও নেতাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি সিপিআইএমের (মাওবাদী) শীর্ষ নেতা ছিলেন। দলে তিনি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিতি পান। আসলে ছেলেবেলা থেকেই নানা কমিউনিজমের বই পড়তেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

আরও পড়ুন-

চালু হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষণের ৪ বছরের স্নাতক কোর্স, বিজ্ঞপ্তি NCTE-র

রাজ্য পুলিশে মহিলা কনস্টেবল পদের ইন্টারভিউয় কললেটার কীভাবে পাবেন?

রেলের আবেদনের ফি কীভাবে ফেরৎ পাবেন জানেন? পড়ুন বিস্তারিত

UPSC পরীক্ষার সিলেবাসে বদল

শিক্ষক নিয়োগে ইন্টিমেশন লেটার ডাউনলোড করবেন কীভাবে?

এনজনরে RPF কনস্টেবল নিয়োগে নিয়ম-কানুন

বড় দিনের আগেই শিক্ষক নিয়োগের বড় ঘোষণা SSC-র

শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিকাশ ভবনের

মৃত কর্মীর পরিজনকে চাকরি দিতে লাগবে নবান্নের অনুমোদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =