কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ পারেনি। বিহার কিন্তু করে দেখিয়ে দিয়েছে। ‘বিহার থেকে এসেছেন নাকি?’ – কথায় কথায় পশ্চিমবঙ্গ বাসীদের এই তাচ্ছিল্য এবার ‘ব্যাক ফায়ার’ করার পথে। অন্তত রাজ্য সরকারের মহার্ঘ ভাতা প্রাপ্তির বিষয়ে বিহারিরা যতটা খুশি, বঙ্গবাসী রাজ্য সরকারি কর্মীরা ততটা নয়।
দীপাবলির আগে বিহারের রাজ্য সরকারি কর্মী এবং পেনশন ভোগীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন, তা ঘোষণা হয়েছে। ঘোষণা করেছেন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী। সকলেই দারুন খুশি। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ বাসী সরকারি কর্মীরা মহার্ঘ ভাতার ব্যাপারে অনেকটা পিছিয়ে। যদিও, বঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন কাঠামো পরিবর্তন হতে চলেছে। কিন্তু, তাও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আশায় বুক বেঁধেছে। তবে দীপাবলি দূরে থাক, মাসের শেষে বেতনের বর্ধিত অংক চলতি বছরে দেখতে পাবেন না। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ জমা পড়লেও, কর্মীদের বর্ধিত বেতন হাতে পেতে-পেতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস হয়ে যাবে। তাও ‘নোসোনাল এফেক্ট’, কর্মীরা এরিরার কিছুই পাবেন না বলে মনে করছে সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি।
কিন্তু বিহার কি পাচ্ছে? কেন্দ্রীয় সরকারের সমানতালে ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে ২৫ অক্টোবর থেকে। শুধু এই জন্যই রাজ্য ১০৪৮ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় করছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১২ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে যা পয়লা জুলাই থেকেই কার্যকর হয়েছে। এবার বিহার সরকারও তা অনুসরণ করলো।
কিন্তু, কি খবর পশ্চিমবঙ্গে? ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হয়। এরপর কমিশনের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হতেই থাকে। প্রথমে ৬ মাস, তারপর আরও এক বছর করে দু’বছর, তার পর ৬ মাস এবং পরবর্তীকালে ৭ মাস দীর্ঘায়িত হয়। বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৪ বছর ১ মাস সময় বাড়ার পর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ গিয়েছে।