কলকাতা: রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন৷ তৈরি কমিশন৷ তৈরি ভোটকর্মীরাও৷ নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ভোটকর্মীরা৷ তবে, সাংবিধানিক দায়ত্ব পালন করতে গেলে ভোট কর্মীরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে কথা বলা হবে না৷ উত্তাল হয়ে উঠবে বাংলা৷ গড়ে উঠবে প্রতিরোধ৷ হুঁশিয়ারি শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের৷
আরও পড়ুন- প্রথম দফার নির্বাচনে কেমন থাকবে নিরাপত্তা? অঘটন ঘটলে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
বৃহস্পতিবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ৷ প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সদস্য থেকে শুরু করে ভোট কর্মীদের একাংশ৷ ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে জোরাদার আন্দোলন গড়ে তোলা শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে ফোন করে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানান৷
ফোনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক তাঁদের আশ্বস্থ করেন৷ বলেন, ভারতবর্ষে প্রতিটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। তাই সেন্ট্রাল ফোর্স বেশি আনা যাচ্ছে না। যতটা বেশি পারা গিয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্স আনা হয়েছে। প্রতিটি বুথে আর্মড পুলিশ থাকছে। ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোন আশঙ্কার কারণ নেই৷ কোন সিভিক থাকছে কি না প্রশ্নের উত্তরে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, কোন সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকছে না। প্রতিটি বুথে আর্মড ফোর্স রাখা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- প্রথম দফায় প্রায় ৫০% বুথেই থাকছে ‘মমতা’র পুলিশ
এদিন কিংকরবাবু মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবকে জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম পর্বের লোকসভা ভোটে যদি কোন একজন ভোটকর্মীর সুনিশ্চিত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বা কোনও ভোট কর্মী আক্রান্ত হন তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে৷
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার প্রথমদফার নির্বাতনে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কমিশন৷ নিজে উপস্থিত থেকে কোচবিহারের ভোট পরিচালনা করবেন করে আশ্বাস দিয়েছেন স্পেশাল অবজার্ভার বিবেক দুবে৷ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর৷ গাড়িতে করে বুথে বুথে ঘুরে ভোট পরিচালনা করতে পারেন তিনি৷ যেতে পারেন আলিপুরদুয়ারেও৷ বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় রাজ্যের দুই কেন্দ্র কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট৷ দুই জেলা মিলে মোট বুথের সংখ্যা ৩৮৪৪টি৷ এরমধ্যে ২০১০টি বুথ কোচবিহারে৷ কোচবিহারের ৮৫৭টি বুথে ও আলিপুরদুয়ারের ১০২০ বুথে নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী৷
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় দুটি আসনে ভোটগ্রহণে মোতায়েন করা হচ্ছে ৮৩ কোম্পানি আধা সেনা৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ৭৯ কোম্পানি বাহিনী৷ আজ আরও ৪ কোম্পানি বাহিনী আসছে৷ এর মধ্যে দুই কেন্দ্রের ৫০-৬০ শতাংশ বুথ থাকছে স্পর্শকাতর কেন্দ্রে৷ সেখানে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ থাকছে মোবাইল পেট্রোলিং ব্যবস্থাও৷ দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে৷