অনশনে অসুস্থ ২ শিক্ষিকার প্রাণ বাঁচাল অটো! জুটল না অ্যাম্বুলেন্স

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক সপ্তাহ ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে তিনদিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্সও৷ মিলল না পানীয় জল৷ শৌচালয় তো দূরের কথা৷ নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই এখন

অনশনে অসুস্থ ২ শিক্ষিকার প্রাণ বাঁচাল অটো! জুটল না অ্যাম্বুলেন্স

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক সপ্তাহ ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে তিনদিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জুটল না একটি অ্যাম্বুলেন্সও৷ মিলল না পানীয় জল৷ শৌচালয় তো দূরের কথা৷ নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই এখন বেঁচে থাকার যুদ্ধ চালাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ অনশনে অসুস্থ শিক্ষকদের অটোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে৷

পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের ডাকে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের অদূরে জমায়েত করে রেখেছেন হাজার পাঁচেক শিক্ষক৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিনিয়ে এনে নিজেদের অধিকারের লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁরা৷ চলছে অনশন কর্মসূচি৷ অনশন কর্মসূচি শুরু হলেও ভ্রুক্ষেপহীন প্রশাসন! প্রায় হাজার পাঁচেক অবস্থানরত শিক্ষকদের জন্য নূন্যতম বন্দোবস্ত করা যায়নি৷

শৌচাগার থেকে শুরু করে পানীয় জল, চূড়ান্ত হাহাকার দেখা গিয়েছে তৈরি হয়েছে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে৷ তবুও চলছে অনশন৷ আজ তিন দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২ জন শিক্ষিকা৷ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অটোয় তুলে তাঁদের ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে৷ খাবারের জল কিনতা, শৌচালয়ের ভাড়ার টাকা গুনতে গিয়ে অসহায় অবস্থা পার্শ্বশিক্ষকদের৷

এবিষয়ে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘অনশন চালাতে গিয়ে ৪০ জনের জন্য দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে৷ আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ৷ খুব দুর্বল হয়েছে পড়েছেন তাঁরা৷ এখনও পর্যন্ত আমাদের জল, শৌচালয় ভাড়া নিতে হচ্ছে টাকা বিনিময়ে৷ অনশনরত শিক্ষকদের জন্য একটিও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা যায়নি৷ প্রচুর টাকা জল, খাবার প্রতিদিন কিনতে হচ্ছে৷ প্রচুর লোক রাতে থাকছেন৷ তাঁদের সবার খাবার জোগাড় করে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়েছি৷ পরিস্থিতি এমন, অনশনরত শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের অটোয় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে হচ্ছে৷ প্রশাসন কি একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে পারত না?’’ আপাতত তাঁরা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷

তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমরা কার্যত প্রতিদিন অনশনে থাকতে বাধ্য হচ্ছি৷ কারণ, গত দু’বছরে ১০৪ জন পার্শ্বশিক্ষক অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে৷ অনেক সময় আমাদের খাওয়া জোটে না৷ বেতন পাই মাত্র ৮৮০০টাকা৷ তাতে কি সংসার চলে? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিদিন মরার থেকে একবারে এই অনশন মঞ্চ থেকেই মৃত্যুর কাছে চলে যাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি পূরণ হয়৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *