কলকাতা: দীর্ঘ মামলার ধকল কাটিয়ে অবশেষে নিয়োগপত্র হাতে স্কুলে যোগ দিলেন টিটিটিআই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মামলাকারীরা৷ প্রায় ১০ বছর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে টিটিটিআই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মামলাকারীদের নিয়োগপত্র দিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷
আর আগে দেশের শীর্ষ আদালতে মুখ পোড়ে রাজ্য৷ আদালত অবমাননার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে৷ দীর্ঘ দিন ধরে মামলার সওয়াল-জবাব শোনার পর মামলাকারীদের চাকরি নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়৷ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাকারীদের চাকরি চাকরির চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেওয়ার পর অবশেষে ১২০০ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর৷ নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই স্কুলের পথে পা বাড়াতে শুরু করে দিয়েছেন বেকারত্বের যন্ত্রণা ভুলে শিক্ষক হতে চাওয়া ১২০০ চাকরিপ্রার্থী৷
গত ২৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে৷ আর তা না হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে জারি হতে পারে রুল৷ মামলাকারী পিটিটিআই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি কতটা এগিয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে৷ পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আগেই মুখ পুড়িয়েছিল রাজ্য সরকার৷ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় জয় পান টিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালত পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে নির্দেশ দেয়৷ প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়া সত্ত্বেও মামলাকারীদের চাকরির নিয়োগপত্র দিতে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে৷ ফের শুরু হয় মামলা৷ পরে সুপ্রিম কোর্টের তরফের সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়৷ জানানো হয়, ওই দিনের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে হবে নিয়োগ৷
চলতি বছরের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কাউল ও দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগের নির্দেশ দেয়৷ অভিযোগ, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ সালে যে সমস্ত পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁদের চাকরি পাবেন বলে উল্লেখ করা হলেও তা কার্যকর করা হয়নি৷ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ২০০৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ২০০৯ সালে পরীক্ষা হয়৷ কিন্তু সরকারের তরফে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২২ নম্বর দিতে রাজি না হওয়ায় বিপত্তি বাধে৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আর সেখানেই মেলে জয়৷