কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জট কাটাতে মাঠে নামলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ কমিশনের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশ রয়েছে, যতদিন না রায় বেরবে, ততদিন মামলাকারী নয় চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ করা যাবে না৷ সেই কারণেই তাঁদের নাম ও ব়্যাঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি৷ এটা আমাদের করে রাখতেই হতো৷ কারণ, আদালত যদি বলে এঁদের নিয়োগ করতে হবে, তখন তো আর নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে পারব না৷ এ নিয়ে দুর্নীতির ব্যাপারই নেই৷’’
বেশ কিছু নামী স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ বহুদিন ধরে ফাঁকা থাকলেও এসএসসি’র শূন্যপদের তালিকায় সেগুলির নাম নেই৷ আবার কোথাও প্রধান শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও শূন্যপদের তালিকায় সেই স্কুলের নাম রয়েছে৷ সৌমিত্রবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বদলির মাধ্যমে কোনও স্কুলে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ হয়ে থাকলে, তা তো আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়৷ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তৈরি হওয়া যে শূন্যপদের তালিকা আমাদের হাতে দেওয়া হবে, সেই অনুযায়ী আমরা এগব৷ তবে, এ ধরনের অভিযোগ যে রয়েছে, তা ঠিকই৷’’
ঠিক কী কারণে এই শূন্যপদে বিভ্রাট? বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, প্রধানত দু’টি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের টিচার ইনচার্জ ক্ষমতার লোভে শূন্যপদের কথা শিক্ষা দপ্তরের কাছে লুকিয়ে গিয়েছেন৷ এটা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ আবার অনেক ক্ষেত্রে কোনও ডিআই অফিসের তরফেও অসৎ উদ্দেশে ওই তথ্য গোপন করা হয়ে থাকতে পারে৷ আবার সাধারণ বদলির মাধ্যমে কোনও স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু সেই তথ্য যথাযথ সময়ে দপ্তরকে জানানো হয়নি বলে এসএসসি’র হাতেও তা তুলে দেওয়া যায়নি৷ তাই এই বিভ্রান্তি হচ্ছে৷