কলকাতা: এসএসসি-তে অনিয়ম৷ শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ২৪ জানুয়ারি কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করা হয়েছে বলে খবর৷ অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের রুল না মেনে নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি৷ প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা৷ মূলত, এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয় মামলা৷
নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে মেধাতালিকা প্রকাশ না হওয়ায় কমিশনকে কড়া সমালোচনা করে আদলত৷ কোন নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হল না, তাও কমিশনের তরফে কৈফিয়ত তলব করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার৷ আগামী ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি৷মামলাকারীদের অভিযোগ, মেধাতালিকা না প্রকাশ করেই কমিশন নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ করেছে৷ এদিকে, নতুন করে ফের শিক্ষক নিয়োগ শুরু করায় মামলার কোপ পড়েছে এসএসসি’র ঘাড়ে৷
এর আগেও একাধিকবার শিক্ষক নিয়োগের অনিময়ের অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে৷ পুরনো একটি শিক্ষক নিয়োগের মামলায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে প্রায় হাজার তিনেক সফল প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ৫০ হাজার ৮টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ পরের বছর ২৯ জুলাই লিখিত পরীক্ষা হয়৷ কিন্তু প্রায় হাজার তিনেক সফল প্রার্থী চাকরি পাননি। ‘‘শিক্ষক ছাত্র ঐক্য সংগ্রাম মঞ্চ’’ গড়ে সেই পরীক্ষার্থীরা মামলা করে সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত মামলা শুনতে বলে হাইকোর্টকে। ফলে হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে মামলা আসে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। ২০১৭ বছর বিচারপতি মুখোপাধ্যায় ২০১১ সালের নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীদের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় এসএসসিকে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের চাকরি না দিয়ে ফের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। তখন ওই সংগঠন এসএসসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে৷
অভিযোগ, এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সফল প্রার্থীদের মেধা তালিকা বের করেনি কমিশন। এর খেসারত হাতেনাতে দিতে হয় কমিশনকে। মেধা তালিকা প্রকাশের আগেই একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৮-র ৬ জুলাই কাউন্সেলিং-এর বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় স্থগিতাদেশও দেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ।