কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, বাংলায় দেওয়া যাবে উত্তর

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, তিব্বতি স্কুল ও নবোদয় বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন ‘সি টেট’ পরীক্ষার আয়োজন করেছে৷ ‘সি টেট’ সিলেবাসে দুটি ভাষা রয়েছে৷ এই দুটি ভাষা পেপারের যেকোনও একটি পেপার বাংলা ভাষা নিতে পারবেন৷ যেকোনও দুটি ভাষা পছন্দ করার সুযোগ পাবেন মোট এই ২০ টি ভাষা

কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, বাংলায় দেওয়া যাবে উত্তর

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, তিব্বতি স্কুল ও নবোদয় বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন ‘সি টেট’ পরীক্ষার আয়োজন করেছে৷ ‘সি টেট’ সিলেবাসে দুটি ভাষা রয়েছে৷ এই দুটি ভাষা পেপারের যেকোনও একটি পেপার বাংলা ভাষা নিতে পারবেন৷

যেকোনও দুটি ভাষা পছন্দ করার সুযোগ পাবেন মোট এই ২০ টি ভাষা থেকে- বাংলা, ইংরেজি ,হিন্দি, সংস্কৃত, উর্দু, অসমীয়া, মালায়লাম, মনিপুরী, মারাঠি, নেপালি, উড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল,তেলেগু ও তিব্বতি৷ সি টেট পেপারের উপর পরীক্ষা হবে৷

প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়ার জন্য প্রথম পেপার, প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়ার জন্য দ্বিতীয় পেপার পরীক্ষায় বসতে হবে৷ যোগ্যতা থাকলে দুটি পেপারের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন৷ একবার সি টেট পরীক্ষায় পাস করলে এই সার্টিফিকেট পরবর্তী সাত বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে৷ একজন প্রার্থী যতখুশি সি টেট পরীক্ষায় বসতে পারেন৷ সি টেট পরীক্ষায় পাশ করে সার্টিফিকেট পেয়ে থাকলে স্কোর বাড়ানোর জন্য পুনরায় সি টেট পরীক্ষা দেওয়া যায৷

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ক) প্রথম শ্রেণি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যে কোন একটি যোগ্যতা থাকতে হবে- ১) ৫০% নম্বর সহ উচ্চ মাধ্যমিক ও এলিমেন্টারি এডুকেশন ২ বছরের ডিপ্লোমা শেষ বর্ষে পাঠরত ২)৪৫% নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও এনসিটিই রেগুলেশন ২০০২ অনুযায়ী এলিমেন্টারি এডুকেশনে দুই বছরের ডিপ্লোমা বা শেষ বর্ষে পাঠরত ৩)৫০% নম্বর সহ উচ্চ মাধ্যমিক ও এলিমেন্টারি এডুকেশন চার বছরের ব্যাচেলার ডিগ্রি বা শেষ বর্ষে পাঠরত ৪) ৫০% নম্বর সহ উচ্চ মাধ্যমিক ও স্পেশাল এডুকেশন দুই বছরের ডিপ্লোমা বা শেষ বর্ষে পাঠরত অথবা গ্রাজুয়েট ও এলিমেন্টারি এডুকেশন দুই বছরের ডিপ্লোমা শেষ বর্ষে পাঠরত৷ খ) ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যেকোনো একটি যোগ্যতা থাকতে হবে- ১)গ্রাজুয়েট ও এলিমেন্টারি এডুকেশন দুই বছরের ডিপ্লোমা বা শেষ বর্ষে পাঠরত ২) ৫০% নম্বরসহ গ্রাজুয়েট ও এক বছরের বিএড পাস বা পাঠরত ৩) ৫০% নম্বরসহ গ্রাজুয়েট ও এনসিটিই নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের বিএড পাস বা পাঠরত ৪)৫০% নম্বরসহ উচ্চমাধ্যমিক ও এলিমেন্টারি এডুকেশন চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী বা পাঠরত ৫)৫০% নম্বর সহ উচ্চ মাধ্যমিক ও ৪ বছরের দিয়ে বিএ বিএসসি বিএড বিএসসি পাস বা পাঠরত ৬)৫০% নম্বরসহ স্নাতক ও স্পেশাল এডুকেশনে এক বছরের বিএড পাশ বা পাঠরত৷

উল্লেখিত দুটি যোগ্যতার ক্ষেত্রেই ত:জা/ ত:উ:জা/ ওবিসি/ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বরে ৫% ছাড় রয়েছে৷ সবক্ষেত্রেই এনসিটিই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে টিচার এডুকেশন এর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা থাকতে হবে৷ স্পেশাল এডুকেশন এর ডিগ্রী ডিপ্লোমা কোর্স পাস হতে হবে রেহাবিলিটেশন কনসিল অফ ইন্ডিয়া স্বীকৃত যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে৷

পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর উপরে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন থাকবে বিষয়গুলি হল- শিশু উন্নয়ন ও মনস্তত্ত্ব, প্রথম ভাষা, দ্বিতীয় ভাষা ও পরিবেশবিদ্যা প্রতিটি প্রশ্নের মান এক নম্বরের পরীক্ষায় সময় থাকবে আড়াই ঘন্টা৷

আবেদন ফি: ১)জেনারেল ও ওবিসি প্রার্থী কেবলমাত্র প্রথম থেকে পঞ্চম ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের যেকোনো একটি পরীক্ষায় বসলে ৭০০ টাকা দুটি পরীক্ষায় বসলে ১২০০ টাকা ২)ত:জা/ ত:উ:জা/প্রতিবন্ধী প্রার্থী কেবলমাত্র প্রথম থেকে পঞ্চম ও ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের যেকোনো একটি পরীক্ষায় বসলে ৩৫০ টাকা দুটি পরীক্ষায় বসলে ৬০০ টাকা এছাড়া জিএসটি বাবদ অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে৷

আবেদনের পদ্ধতি: ctet.nic.in এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে৷ এর জন্য প্রার্থীর একটি বৈধ ইমেল আইডি ও মোবাইল নম্বর থাকতে হবে৷ আবেদনের শেষ তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত৷ আবেদনের ফি অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 3 =