কলকাতা: করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের ফলে কর্মহারা এবং বেকার যুবকদের শাড়ি, মাছের মতো সামগ্রি বিক্রির পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরজন্য ঋণ দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের তরফে ঋণ হিসেবে এই টাকা দেওয়া হবে, তারমাধ্যমে গাড়ি কিনে এই সমস্ত সামগ্রির ব্যবসা করা যাবে, ফলে তাতেও রোজগার বাড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যেক ২ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে, একটা করে বাইক দেওয়া হবে। তারমধ্যে ব্যবস্থা করা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাছ অথবা শাড়ি বিক্রির মতো কাজ করা যাবে। সমবায় ব্যঙ্কের মাধ্যমে এই ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘১০ বছরে আমরা চোখে না দেখা না গেলেও ২৯ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রে গত ১০ বছরে ২১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছি। হস্তশিল্পে ৩ লক্ষ, এছাড়াও আরও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করা হয়েছে৷’’ হাওড়া, ডুমুরজোলা থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী তিন বছরে সংগঠিত ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জেলাশাসক এবং বিভাগীয় সচিবদের জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১৫ লক্ষ, তথ্য প্রযুক্তি সহ অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে৷’’
সিলিকন ভ্যালিতে যে জমি দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যপক কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিসিএস, ইনফোসিসের মতো সংস্থার মাধ্যমে সেখানে ব্যপক কর্মসসংস্থান তৈরির কথা জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘আগামী তিন বছরে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষমাত্রা দেওয়া হয়েছে৷’’ হস্তশিল্পে আপাতত ৩ বছরে ২ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও পরে তা আরও বাড়বে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ একাধিক ছোটো ও মাঝারি ক্ষেত্রকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে সেগুলিকে দিয়ে একটি জানালা তৈরি করে কর্মসংস্থানের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।