ন্যায্য বেতনের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন, সমর্থন অমর্ত্য সেনের

কলকাতা: ন্যায্য বেতন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি মুক্ত করা সহ ১২ দফা দাবিতে ভিত্তিতে অনশন শুরু প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের৷ আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অনশনকে সমর্থন জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী, অসিত বসু, রাজনীতিবিদ সন্তোষ রানা-সহ বিশিষ্টজনেরা৷ সমর্থন জানিয়ে বিশাল জনসভাও করেছে বাম নেতৃত্ব৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন

ন্যায্য বেতনের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন, সমর্থন অমর্ত্য সেনের

কলকাতা: ন্যায্য বেতন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি মুক্ত করা সহ ১২ দফা দাবিতে ভিত্তিতে অনশন শুরু প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশের৷ আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অনশনকে সমর্থন জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী, অসিত বসু, রাজনীতিবিদ সন্তোষ রানা-সহ বিশিষ্টজনেরা৷ সমর্থন জানিয়ে বিশাল জনসভাও করেছে বাম নেতৃত্ব৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন জারি থাকবে মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোড অনশন মঞ্চে থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

ষষ্ঠ পে-কমিশন কার্যকর করা, প্রাথমিক শিক্ষকদের উচ্চতর বেতনক্রম, শিক্ষাক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ-সহ ১২দফা দাবিতে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে এদিন রানি রাসমণি রোডে অনশনে শামিল হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই অনশন মঞ্চে বিধানসভায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন? শুধু পেশাগত দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন? না। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারি ব্যবস্থায় শিক্ষাকে তুলে দিতে চাইছে।’’

অন্য রাজ্যগুলির থেকে এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কম। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন এনসিটিই শর্ত মেনে শিক্ষাগত এবং অন্যান্য যোগ্যতা থাকার পরেও রাজ্যের একজন প্রাথমিক শিক্ষক মাসে প্রায় ৭ হাজার টাকা কম বেতন পান। তার ওপর বকেয়া মহার্ঘ ভাতা।

অনশন মঞ্চে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের সময় মহার্ঘভাতা বকেয়া ছিল ১৭ শতাংশ। এই টাকার সংস্থান রাখা ছিল। তারপর বকেয়া বাড়তে বাড়তে এখন ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া গেল না? শিক্ষক, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে, সে কথা মানে না বর্তমান সরকার। সরকারি টাকায় উৎসব করা হচ্ছে, ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যা রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটায় না। ঋণের জালে সরকার ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে।’’ আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিক্ষক কেন, বর্তমান শাসক দল কোনও মানুষকেই সম্মান বা মর্যাদা দেয় না। অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষাক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা অবাধে ঘোরাফেরা করছে। এমন অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী সরকারের থেকে দাবি আদায় করতে হলে আন্দোলন, লড়াই একমাত্র পথ।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =