কলকাতা: নিয়মিত হচ্ছে না স্কুল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা। এদিকে ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গেজেট না মানার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষিত নয় এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এদিকে গেজেট অনুযায়ী যাঁরা যোগ্য, তাঁদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন স্থগিত হয়েছে। সূত্রের খবর, এমন ৪,২০০ চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে SSC-র দফতরে গণ ই-মেল আপার প্রার্থীদের
করোনা আবহে বেকারত্বে সমস্যা বৃদ্ধি নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে গোটা বিশ্বের যা পরিস্থিতি, তাতে সর্বত্রই একই আশঙ্কা। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ বহু আগে থেকেই উঠছে। ২০১৪ সালে দেওয়ায় হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। সেই অনুসারে ২০১৫ সালে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছি। পরের বছর প্রকাশিত হয়েছিল সেই পরীক্ষার ফল। ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করা হয়। তবে সেখান থেকেই গোল বাঁধে বলে মনে করেন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে এমন প্রার্থীরা। শম্পা মণ্ডল নামে এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায় অনেক অপ্রশিক্ষিত এবং তুলনায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ডাক পেয়েছেন। এরই ভিত্তিতে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম।
আরও পড়ুন: মিড-ডে মিল নিয়ে ফের বিতর্ক, পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না বহু স্কুল
এরপর বেশ কয়েকজন ভেরিফিকেশনের জন্য ডাক পেলেও এখনও প্রায় ৪২০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কেস পিটিশনের (রিট পিটিশন) ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ হয়নি। এরই মধ্যে কমিশনের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৯ সালে প্রভিশনাল মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় এবং ওই তালিকার বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা কমিশনে জমা করার কথা বলা হয়। সেই মতো অনেকেই অভিযোগ জমা দেন এবং আমিও দিয়েছিলাম। প্রায় ১২০০০ প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন।’ সেই অভিযোগ তালিকায় নিয়োগের ক্ষেত্রে গেজেট-বিরুদ্ধ পদক্ষেপের কথা যেমন রয়েছে, তেমনই তুলনায় কম নম্বর পাওয়া বা অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা পাননি তাঁরা। করোনা আবহে তাঁদের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় সরকারের তরফে নেওয়া উপযুক্ত কোনও সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের কাছে অন্য কোনও উপায় নেই।