আগরতলা: ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়৷ মুখের বুলি নয়, হাতে কলমে করে দেখালেন ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া মহকুমার নাথ পাড়ার হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান শ্যামসুন্দর দেবনাথ। শুধুমাত্র সরকারি চাকুরি নয়৷ মনের উদ্যম, প্রাণোচ্ছল ইচ্ছাশক্তি থাকলেই যে কঠিন বাস্তবের ভূমিতেও কৃষি নির্ভর হয়ে স্বাবলম্বী হয়ে উঠা যায়, সেটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছেন প্রান্তিক চাষি রতিশ দেবনাথের ছেলে শ্যামসুন্দর৷
গল্পটা এই রকম: চাষে লাভ নেই৷ তাই বাবার সঙ্গে চাষের কাজে না থেকে কাপড়ের ছোট ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছিলেন শ্যামসুন্দর৷ ২০১৯ সাল৷ তখনও করোনার আর্বিভাব ঘটেনি৷ জুলাই-অগাস্টে ব্যবসার কাজে পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন শ্যামসুন্দর৷ সেখানেই বীরভূম জেলায় দেখেন ড্রাগন ফল, সৌদি খেজুর, কাশ্মিরী কুল সহ বিভিন্ন বহু মূল্যবান ফলাফল৷ সেখানে চাষাবাদে হাতেকড়ির ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ নেন৷
সেই শুরু৷ গ্রামে ফিরে কল্যাণপুরে নিজের এক ছটাক খালি জমিতে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করে ড্রাগন ফল, কাশ্মীরি কুল ও সৌদি খেজুর চাষ শুরু করেন৷ ধীরে ধীরে চাষের সুফল পেতে শুরু করেন৷ মাত্র দু’বছরের মধ্যে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তিনি৷ ইতিমধ্যে এলাকায় ড্রাগন ফল, কাশ্মীরি কুল ও সৌদি খেজুরের চাহিদা বেড়েছে৷ তার দেখাদেখি আরও অনেকে এই ফল চাষে হাত লাগিয়েছেন৷ শ্যামসুন্দরের ক্ষোভ, ‘‘সরকারি সাহায্য পেলে আরও ভালভাবে ব্যবসাটা দাঁড় করাতে পারতাম৷ কিন্তু এখানে তো কোনও সুবিধা পাই না৷’’ শ্যামসুন্দর জানায়, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় লক-ডাউনের পর দিব্যোদয় কৃষি বিজ্ঞানের অধিকর্তা আমার ক্ষেত ঘুরে গিয়েছেন৷ প্রশংসাও করেছেন৷ কিন্তু আশ্বাস ছাড়া এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি৷