দেখা নেই ডিএর৷ বাড়ছে না বেতন৷ ফের থমকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন৷ তার সময়সীমা বাড়াল আরও সাত মাস৷ দীর্ঘ দিনের বেতন বঞ্চনা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী মহলে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে অসন্তোষ৷ এই অসন্তোষের মধ্যেই ফের আরও এক দফায় বাড় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? প্রশ্ন তুলছেন কর্মমহলের একাংশ৷
ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, ‘‘মানুষের কাজ অনেক করেছি৷ এবার দলটা বেশি করে দেখব৷ হয়তো একটু বেশিই কাজ করে ফেলেছি৷’’ এবারের নির্বাচনের ফলাফল খতিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ বেতন বঞ্চনার অসন্তোষ এবার প্রভাব ফেলেছে ইভিএমে৷ পোস্টাল ব্যালট গণনায় দেখা গিয়েছে, বিজেপির দখলে গিয়েছে ৩৯টি আসন৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কর্মচারি মহলের একাংশের প্রশ্ন, ফোটের ফলাফল বিজেপির দিকে যেতেই কী এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের? সরকারি কর্মচারী মহলের ভোট শাসক-বিরোধী হওয়ার জেরেই কি বেতন কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে কর্মীদের বিপাকা ফেলা হচ্ছে?
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, পোস্টাল ব্যালট গণনার পর দেখা যায় বিজেপির দখলে ৩৯টি আসন৷ তৃণমূল একটি এবং সিপিএমর দখলে যায় একটি আসন৷ পোস্টাল ব্যালট গণনা শেষে বিজেপির দখলে গিয়েছে, আসানসোল, আরামবাগ, বিষ্ণুপুর, দমদম, ঘাটাল, হুগলি, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, উলুবেড়িয়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব, শ্রীরামপুর, তমলুক, বালুরঘাট, বাঁকুড়া, বারাসত, বারাকপুর, ঝাড়গ্রাম, জয়নগর, কাঁথি, মথুরাপুর, রানাঘাট-সহ মোট ৩৯ আসন৷ এই ফলাফল সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে তৃণমূল৷
সরকারি কর্মীদের দীর্ঘ দাবি ছিল ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করা৷ গত ২৫ নভেম্বর বেতন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ছ’মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়৷ সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে গত রবিবার৷ আজ সোমবার বেতন কমিশনের মেয়াদ সরকারি ভাবে আরও সাত মাস বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়৷ জানা গিয়েছে, এখনও বিকাশ ভবনের অফিসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ কর্মী ও আধিকারিকদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলির বক্তব্য শোনার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি৷ এই পরিস্থিতিতে কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি করেছে কমিশন৷