কলকাতা: এজলাসের মধ্যে নিয়োগপত্র পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজে যোগ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সুহৃদগোপাল রায়৷ দীর্ঘ শুনানির পর নয় বছর পর সেই চাকরি ফিরে পেলেন ওই শিক্ষক৷ তাও আবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে৷
গত ২০০৬ সালে তিনি শিক্ষক পদে পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ দীর্ঘ চার বছর বাদে ২০১০ সালে তিনি নিয়োগপত্র পান৷ কিন্তু নানা জটিলতার কারণে এতদিন তাঁর নিয়োগ আটকে রেখেছিল পর্ষদ৷ অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বুধবার অত্যন্ত কড়া ভাষায় এজলাসের মধ্যেই পর্ষদকে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন৷ নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে গোপালবাবু সকালেই হরিনারায়নপুর নন্দনপুর এপি স্কুলে কাজে যোগ দেন৷
পরীক্ষার নূন্যতম মানদন্ড থেকে এক নম্বর কম থাকার কারণে নিয়োগের ছ’মাস পর ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ ওই মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালত পর্ষদের ভূমিকাকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়ে৷ আদালত জানিয়ে দেয়, যখন চূড়ান্ত প্যানেলে ওই শিক্ষকের নাম ছিল, চাকরির ছাড়পত্র দেওয়ার পর কেন তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হল? শিক্ষককে বরখাস্ত করার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, অবিলম্বে ওই শিক্ষককে নিয়োগপত্র দিতে হবে৷ মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী যুক্ত দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী অত্যন্ত কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, অবিলম্বে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করতে হবে৷ পরে আদালতের নির্দেশে মামলাকারীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়৷ আগামী ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি৷