আজ বিকেল: ভোট বড় বালাই, তাই বিসএনএল কর্মীরা জানেন না তাঁদের ভবিষ্যৎ কতটা অন্ধকার হতে চলেছে। ভোটে জিততে হলে জনমানসে সুন্দর ভাবমূর্তি বজায় রাখা জরুরি, তাই খবরটি এখনও প্রকাশ্যে আনেনি সংস্থা। তবে জানা যাচ্ছে ভোট হয়ে গেলেই বিএসএনএল কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে ওই নেটওয়ার্ক পরিষেবা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ভোটবাক্সে প্রভাব পড়বে বলেই আগে থেকে এই খবরটি প্রচার করা হয়নি। ভোট মিটে গেলেই প্রায় বজ্রাঘাতের মতো বিএসএনএল কর্মীদের মাথায় পড়বে এই খবর। বাকিটা কতটা ভয়াবহ হতে চলেছে তা সময় বলবে। এই দুর্দিনের বাজারে কর্মীরা যে পেনশন পাবেন তা কিন্তু নিশ্চিত নয়। জানা গিয়েছে বিএসএনএল-র উন্নতির পথ খুঁজতে ও অবনতি রুখতে বিশেষ বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছিল সংস্থা। সেই কমিটির রিপোর্ট আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। তাতে যতগুলি পয়েন্ট উন্নয়নের জন্য জরুরি হিসেবে দাখিল করা হেছে তার মদ্যে মাত্র দুটিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে সংস্থা বাকিগুলিকে ধর্তব্যে আনা হয়নি।
অনুমোদিত সুপারিশগুলির অন্যতম হল বিএসএনএল কর্মীদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে কমিয়ে ৫৮ করা হোক। আর ৫০ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের ভিআরএস দিয়ে দেওয়া হোক। একই সঙ্গে সংস্থার জন্য দ্রুত হারে ফোরজি স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হোক। বলাবাহুল্য, স্পেকট্রাম মিলল কিনা সে খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্বেচ্ছাবসরের অনুমোদন হওয়ায় সংস্থার প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে চলেছেন। অন্যদিকে অবসরের বয়স কমানোর জন্য প্রায় ৩৫ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে চলেছেন। এককথায় ভোট মিটলে নিঃস্ব হতে চলেছেন বিএসএনএল কর্মীরা।