কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জেরে আগেই স্থগিত হয়েছিল রাজ্যের নতুন নিয়োগ৷ সরকারি খরচ কমিয়ে করোনা সংকট মেকাবিলা করা হবে বলেও জানানো হয় রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে৷ অনুমতি না নিয়ে কোনও ধরনের নিয়োগ করা হবে না বলেও জারি হয়েছিল নির্দেশিকা৷ এবার সেই নির্দেশিকা খানিকটা শিথিল করে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন৷
নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কর্মরত অবস্থায় কোনও মৃত হলে সরকারি কর্মীর নিকটাত্মীয়কে সহানুভূতির খাতিরে চাকরি দেওয়া যেতে পারে৷ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই ইঙ্গিত দেন৷ জানান, কর্মরত অবস্থায় বাংলার যে স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবার চাইলে রাজ্য সরকার চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে৷
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মৃত কর্মীদের নিকটাত্মীয়কে সহানুভূতির খাতিরে চাকরি দেওয়ার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না৷ রাজ্য অর্থ দফতরের প্রধান সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদির জারি করা নির্দেশিকায় (No.1640-F(Y) বলা হয়েছে, মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রতিমন্ত্রীরাও অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে লোক নিয়োগ করতে পারবেন৷ মূলক, কোনও একজন মন্ত্রী বছরে ৩ জনকে নিয়োগ করতে পারেন৷ এক বছর পর ওই কর্মীর চাকরি স্থায়ী হয়ে থাকে৷
গত ২ এপ্রিল অর্থ দফতরেপ পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়৷ যেখানে বলা হয়েছে, কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে৷ ২১ দিন লকডাউনের জেরে সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া কোনও নিয়োগ করা যাবে না। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশিকা লাগু থাকবে৷
ওই মেমোরেন্ডামে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না৷ জরুরি ভিত্তিতে কোনও মেরামতি বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন না থাকলে বন্ধ রাখা হবে সব ধরণের নির্মাণ কাজ৷ জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হলে অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক৷ অর্থমন্ত্রকের অনুমতি চলতি কোনও প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে না৷ ৩০ জুন পর্যন্ত কোনও রকম গাড়ি, কমপিউটার, আইটি সম্পর্কিত জিনিসপত্র, আসবাব, এসি, ফ্রিজ, টিভি, অফিসের সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দেওয়া হবে না৷