কলকাতা: রাজ্যের স্কুল-মাদ্রাসার গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারিকদের বিভিন্ন বঞ্চনার প্রতিবাদে সোমবার ‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’ বা STEA বিকাশ ভবন অভিযান করে। রাজ্যের বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলিতে গ্রন্থাগারিক শূন্যপদে নিয়োগ, লাইব্রেরিয়ানদের উপযুক্ত গ্রেড পে (৩৯০০ টাকা থেকে ৪১০০ টাকা), শিক্ষক সম মর্যাদা, উপ জব চার্ট, লাইব্রেরী পলিসি রূপায়ণ সহ গ্রন্থাগারিকদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের দাবিতে আজ তারা বিকাশ ভবন অভিযান করে এবং কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন ও শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে ডেপুটেশন দেয়।
আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতি’-র পাকে SSC! অস্বচ্ছতা রুখতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেই বড় বদল আনতে চলেছে কমিশন
আজ এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমিতির সভাপতি গৌতম কুমার মহান্তি, সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহেফুজ আলম, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, কলকাতা জেলা সম্পাদিকা শম্পা সরকার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার, গ্রন্থাগারিক কিশলয় হালদার, শামসুল আলম, প্রীতি গুপ্তা প্রমূখরা। এছাড়াও রাজ্যের প্রায় সব জেলার গ্রন্থাগারিক প্রতিনিধিরা এই ডেপুটেশনে যোগদান করেন। এদিকে রাজ্যের স্কুল এডুকেশনের সচিব কৌশিক হালদার ডেপুটেশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তাদের দাবিগুলি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি শিক্ষা দফতরের সভাতে বিষয়গুলি তুলে ধরবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
গোটা ইস্যু নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ বলেছেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গ্রন্থ বা বই এবং গ্রন্থগারের ভূমিকা অপরিসীম। অথচ রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি ও গ্রন্থাগারিকরা সব থেকে বঞ্চিত। অধিকাংশ স্কুল ও মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক তো দূরের কথা, একটা গ্রন্থাগার পর্যন্ত নেই। আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক পদ সহ আদর্শ গ্রন্থাগার নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি।” পে স্কেল, জব চার্ট এবং স্ট্যাটাস সহ গ্রন্থাকারিকদের দাবিগুলো না পূরণ হলে ভবিষ্যতে তারা যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।