কলকাতা: এক দিনে জোড়া ধাক্কা স্কুল সার্ভিস কমিশনের৷ গ্রুপ ডি’র পর গ্রুপ সি’তেও সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ বলা হয়েছে, তদন্তে নজরদারি করবেন সিবিআই-এর যুগ্ম অধিকর্তা৷ ১৫ই মার্চের মধ্যে সিবিআই-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আরও পডুন- গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ৪ মাস সময় মঞ্জুর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে
এছাড়াও এদিন আদালত বলে, গ্রুপ সি-তে অবৈধ ভাবে ৩৫০ জন গ্রুপ সি চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযুক্ত ৩৫০ জনকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে৷ তাঁদের নিয়োগ আর বৈধ নয়৷ পাশাপাশি বলা হয়েছে, এতদিন এই ৩৫০ জন চাকরিজীবী সরকারের কাছ থেকে যে বেতন পেয়েছেন সেই বেতন তাঁদের অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে৷ চাইলে এই ৩৫০ জন হাইকোর্টে হলফনামা দাখিল করতে পারেন৷ কিন্তু হলফনামা দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে এও জানাতে হবে যে, তাঁরা কার কাছ থেকে নিয়োগপত্রের সুপারিশ পেয়েছিলেন৷ যা আদতে ভুয়ো বলে দাবি করে হয়েছে৷ এছাড়াও এতদিন পর্যন্ত তাঁরা কত টাকা বেতন পেয়েছেন, সেটাও আদালতকে জানাতে হবে৷
গ্রুপ সি মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের ১৮ মে প্যামেলের বৈধতা শেষ হওয়ার পরেও এসএসসি’র তরফে বেশ কিছু সুপারিশপত্র দেওয়া হয়৷ যার ভিত্তিতেই এই ৩৫০ জন নিয়োগপত্র হাতে পান৷ অথচ বোর্ড এবং কমিশন জানায় প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা আর কাউকে নিয়োগপত্র দেয়নি৷ কেউ সেটা দেখালে তা ভুয়ো বলে প্রমাণিত হবে৷