ওয়াশিংটন: করোনার ভয়াবহ প্রকোপে জেরবার গোটা বিশ্ব। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তো ছড়িয়েছেই, তার পাশাপাশি করোনা প্রভাবিত দেশগুলির অর্থনীতিরও বেহাল দশা। এই তালিকায় রয়েছে মার্কিন মুলুকও। সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস সূত্রে জানা গেছে, করোনার জেরে বেকারত্বের সুযোগ সুবিধা চেয়ে আবেদন করেছে আমেরিকার ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
করোনা রুখতে লকডাউন পরিস্থিতি বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই। এর ফলে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে দেশগুলি। বিপজ্জনক করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ রোখার জন্য সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (হু)। এদিকে মার্কিন মুলুকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় বিশ্বের 'ফার্স্ট কান্ট্রি' হিসেবে দাবি করা ট্রাম্পের দেশের করুণ পরিস্থিতি সামনে এল।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার শ্রম দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহেই প্রায় ৬৬ লক্ষ আবেদন পড়েছে বেকারত্বের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য। যা দু'সপ্তাহ আগেরর পরিসংখ্যানের দ্বিগুনেরও বেশি বলে দাবি করেছে শ্রম দফতর। দু'সপ্তাহ আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩০ লক্ষের বেশি। বিশেষজ্ঞরা আগেই অনুমান করেছিলেন যে, করোনার জেরে বেকারত্ব বাড়বে সর্বত্র। মার্কিন মুলুকে মার্চ মাসের শেষের দিকে তা রেকর্ড পরিমাণ বাড়বে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২১ মার্চ পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ বেকারত্বের সুবিধা পাওয়ার আশায় আবেদন করেছিলেন। ২৮ মার্চ সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৪৮ হাজার। পাশাপাশি এমনও খবর পাওয়া গেছে, বিশাল পরিমাণ আবেদনের জেরে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ওয়েবসাইটেও। বুধবার ফ্লোরিডার অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। পেশায় অডিও ইঞ্জিনিয়ার নিলস ওয়ারেন জানিয়েছেন, তিনি আবেদনের জন্য দু'দিন নষ্ট করেছেন। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজের সুযোগ না থাকায় ওয়ারেন ভেবেছিলেন যে, বেকার ভাতা পেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু এমনই পরিস্থিতি যে সেই সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের নাগরিকরা।