নয়াদিল্লি: কর্মসংস্থানে দেশের সরকারি ক্ষেত্রের কঙ্কালসার চেহারাটা এবার আরো পরিষ্কার হল৷ শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে কর্মক্ষেত্র নির্বাচনে বেসরকারি সংস্থাগুলোই যে মোদী সরকারের মুখ রক্ষার একমাত্র অবলম্বন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কোয়ম্বাটোর সিটি সূত্রের খবর কোয়েম্বাটোর সিটি কর্পোরেশনের গ্রেড-১ সাফাইকর্মী পোস্টে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনের প্রার্থী বাছাইপর্ব৷
সাফাই কর্মী পদে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল দশম শ্রেণী৷ শূন্যপদ ৫৪৯টি৷ এই কাজে প্রারম্ভিক বেতন ১৫ হাজার ৭০০টাকা৷ কিন্তু ইন্টারভিউ এবং ভেরিফিকেশনের সময় চোখ কপালে ওঠে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের৷ কারণ আবেদনকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেও প্রত্যেকেই স্নাতক৷ এছাড়া স্নাতকোত্তর এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি মিলিয়ে মোট ৭০০০জন আছেন এই তালিকায়৷
এর একটি প্রধান কারণ শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে থেকেও এদের মধ্যে বেশীরভাগই যোগ্যতা অনুযায়ী স্থায়ী কাজ জোগাড় করতে ব্যর্থ৷ এদের মধ্যে অনেকেই বিগত ১০বছর ধরে কন্ট্রাক্টরের অধীনে সাফাইকর্মী পদেই নিযুক্ত আছেন৷ মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতনে বেসরকারি সংস্থা এবং টয়লেডে ১২ ঘন্টার কাজ করছেন শুধুমাত্র সংসারের হাল ধরতে৷ যে কাজে কোনো স্থায়ীত্ব বা নিরাপত্তা নেই৷
অন্যদিকে কম বেতন হলেও সরকারি সাফাই কর্মীর পদে চাকরি পেলে অন্তত কাজের নিরাপত্তা থাকবে বলে ধরেই নেওয়া যায়৷ তাছাড়া সরকারি সাফাই কর্মীদের সকালে তিন ঘন্টা, বিকেলে তিন ঘন্টা মিলিয়ে মাত্র ৬ ঘন্টার কাজ৷ এর মাঝে ফাঁকা সময়টাতে অন্য কোনো কাজ করে আয়ের পরিমাণটাও বাড়ানো যায়৷
অর্থাৎ দেশের ছাত্র ও যুব সমাজকে শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত করে তোলার জন্য যেখানে সরকারী উদ্যোগে হাজারো স্কুল কলেজে, অত্যাধুনিক পঠনপাঠন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় সেখানে কর্মক্ষেত্রে এই শিক্ষিতদেরই উপযুক্ত মর্যাদা এবং কর্মসংস্থান দিতে সরকারি ব্যর্থতার চিত্রটাই দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে৷