মাসে ৬৬ হাজার টাকা আয় হলেও চাকরিতে মিলবে সংরক্ষণ

কলকাতা: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের দেখানো পথে হেঁটে এবার সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার৷ বছরে আট লক্ষ টাকার কম আয় থাকলে এই সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা জানানো হয়েছে৷ অর্থাৎ, ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় যে পরিবারে তাঁরা

মাসে ৬৬ হাজার টাকা আয় হলেও চাকরিতে মিলবে সংরক্ষণ

কলকাতা: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের দেখানো পথে হেঁটে এবার সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার৷ বছরে আট লক্ষ টাকার কম আয় থাকলে এই সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা জানানো হয়েছে৷ অর্থাৎ, ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় যে পরিবারে তাঁরা এই সংরক্ষের আওতায় পড়বে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে যে পরিবারে মাসে ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় তাঁরা কি আদৌও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া?

যে দেশের জনতার গড় আয় ৩২ টাকারও কম, সেই দেশের রাজ্যে দৈনিক ২২২২ টাকা আয় হলেও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ার তালিকায় পড়ছেন৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যাঁদেক মাসিক আয় ৬৬ হাজার টাকা, সেই পরিবারের সদস্যরা কেন যাবেন সরকারি চাকরি করতে? সেখানে খুব বেশি হলে তিনি শুরুতেই বেতন পেতে পারেন ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি৷ যদিও, এই বিষয়ে রাজ্যের যুক্তি, এক্ষেত্রে তারা কেন্দ্রের পথ ধরেছে৷ যদিও, এই কেন্দ্রের ১০ সংরক্ষণ চালু করার  পর প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনী প্রচারেও তিনি সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন৷ এবার, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের পথে হেঁটে সরকারি চাকরিতেও ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ছাড়পত্র দিলেন, তাও আমার মাসিক ৬৬ হাজার আয়ের ভিত্তিতে৷

কেন্দ্রের মতো বাড়ির আয়তনের ভিত্তিতে কিছু মাপকাঠি নির্ধারণ করা করেছে রাজ্য সরকার৷ এক হাজার বর্গফুটের কম বাড়ি হলে তবেই এই সুবিধা৷ পুর এলাকায় বাড়ি হলে তার আয়তন হতে হবে ১০০ বর্গফুটের কম৷ পাঁচ একর বা তার বেশি কৃষি জমি থাকলে সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ পরিবারের বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি থাকলে সব মিলিয়ে এই হিসেব ধরা হবে৷

তফসিলি জাতি-উপজাতি ও ওবিসি সংরক্ষণের সুযোগ যাঁরা পান না, তাঁরাই শুধু এই বিশেষ ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে৷ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সংরক্ষণ মিলবে৷ সরকারি চাকরি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সুবিধা মিববে৷

আবেদনপত্রের সঙ্গে আয় ও সম্পত্তির সার্টিফিকেট দিতে হবে৷ সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের হাতে৷ আয় ও সম্পত্তির সার্টিফিকেট সহ নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদনপত্র পেশ করতে হবে বিডিও, এসডিও ও ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার কাছে৷ আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিভাবকের পে-স্লিপ, জমি, বাড়ির মালিকানার নথি, আবাসিক সার্টিফিকেট, অভিভাবকের বা নিজের প্যান কার্ড, অভিভাবক বা নিজের সচিত্র ভোটার কার্ড ও সম্পত্তির ব্যাপারে নিজস্ব ঘোষণাপত্র প্রভৃতি জমা দিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 3 =