নয়াদিল্লি: একদিন নয়, দু’দিন নয়, একেবারে তিন দিন ছুটি! তাও আবার সরকারি ক্ষেত্রে! আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এবার এমনই এক অভিনব ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। শ্রমবিধির আওতায় আনা হতে চলেছে নতুন বিকল্প, যাতে শ্রমিকদের সপ্তাহে মাত্র ৪ দিন কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। বলা বাহুল্য, কেন্দ্রের ঘোষণা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে বিভিন্ন মহলে।
গত সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে কেন্দ্রের তরফ থেকে শ্রমসচিব স্বয়ং এই নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছেন। তবে এটি একটি বিকল্প মাত্র। সবার ক্ষেত্রে ৪ দিন কাজ করা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে ৫ কিংবা ৬ দিনও কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব অপূর্ব চন্দ্র।
এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে নয়া লেবার কোড বা শ্রমবিধি অনুযায়ী কর্মচারীকে সপ্তাহে মোট ৪৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এই সময়সীমাকেই ভাগ করে নেওয়ার জন্য দেওয়া হবে একাধিক বিকল্প। সপ্তাহে কতদিন কাজ করানোর পথে হাঁটতে পারে দেশের সংস্থাগুলি, তা নিয়ে তিনটি বিকল্প দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমসচিব। প্রথমত, দৈনিক ১২ ঘন্টার ভিত্তিতে সপ্তাহে চারদিন কাজ করা যাবে। দ্বিতীয়ত, দৈনিক ৯ ঘন্টার কিছু বেশি কাজ করলে সপ্তাহে পাঁচদিন এবং তৃতীয়ত, দৈনিক ৮ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করা যাবে। শ্রমিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী এই সময়সীমা নির্ধারিত হবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য এই নতুন ব্যবস্থাকে ঘিরে কোনোরকম অশান্তি চাইছে না কেন্দ্র। এদিন শ্রমসচিব সাফ জানিয়েছেন, কোনো বিধি মেনে চলার জন্য কর্মী বা সংস্থাকে বাধ্য করা হবে না। একে প্রচলিত কর্মবিধিতে খানিক নমনীয়তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে, বলেছেন তিনি। তাঁর কথা অনুযায়ী, দেশের কর্মসংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, মজুরি বিধি, শিল্পকাজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি, স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশের বিধি এবং সামাজিক সুরক্ষা বিধি এই ৪ শ্রমবিধির আওতায় নতুন নিয়ম চালু করার কাছে এখন ব্যস্ত কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আগামী সপ্তাহেই নিয়ম তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে এদিন আশা প্রকাশ করেছেন শ্রমসচিব অপূর্ব চন্দ্র।