রাজ্যে চাকরির বাজারে কী হাল? নতুন নিয়োগের তথ্য পিএফের

রাজ্যে চাকরির বাজারে কী হাল? নতুন নিয়োগের তথ্য পিএফের

কলকাতা: করোনা আবহে থমকে নতুন নিয়োগ৷ কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক৷ বেতন কমেছে বহু চাকরিজীবী৷ রয়েছে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা৷ কম কর্মী নিয়ে বেশ শ্রমসময় ব্যবহার করে লকডাউনের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বহু সংস্থা৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গোটা দেশে যখন আকাল কর্মসংস্থান, ঠিক তখন শেষ এক বছরে বাংলায় চাকরির বাজার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান এল প্রকাশ্যে৷

পরিসংখ্যান বলছে, শেষ এক বছরে বাংলায় পিএফের সুবিধান পেতে নতুন করে নাম তুলেছেন বহু কর্মচারী৷ নিয়োগের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেজানা গিয়েছে, শেষ এক বছরে ২.৭ লক্ষের বেশি নতুন কর্মী পিএফের সুবিধান পেতে নাম সিখেছেন৷

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় যাঁরা সুবিধা পান, তাঁদের হিসেব নিজেদের সংগ্রেহে রাখে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক৷ প্রতি মাসে কোন রাজ্যে কত জন নতুন কর্মী পিএফের সুবিধান পেতে নাম লেখালেন তারও হিসেব জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসগুলিতে৷ সেই হিসাব থেকে দেখা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে বাংলায় বেসরকারি ক্ষেত্রে মোট চাকরি পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার কর্মচারী৷ ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা ছিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার৷ অর্থাৎ এক বছরে বেসকারি নিয়োগ বেড়েছে মাত্র ছ’হাজার৷ মূলত, ২০ জন কর্মী আছেন, এমন কোনও সংস্থায় যদি কোনও কর্মচারীর মাসে ১৫ হাজার বেতন পান, তাহলে ওই কর্মচারীদের পিএফের সুবিধা দেওয়া বাধ্যতামূলক৷

বাংলায় বেসরকারি ক্ষেত্রে গত এক বছরের তুলোনায় মাত্র ৬ হাজার নতুন নিয়োগ হলেও দেশের গড় হতাশাব্যঞ্জক৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ভারতে নতুন নিয়োগ কমেছে ৪৪%৷ বাংলায় শেষ মার্চ মাসে নতুন কর্মী হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন নিয়োগ হয়েছিল প্রায় ৩২ হাজার৷ জানুয়ারি মাসে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ হাজার৷ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের তথ্য বলছে, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন ২২-২৫ বছর বয়সিরা৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৮-২১ বছর বয়সিরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *