মোট এতজনের চাকরি! ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের রিপোর্ট জমা আদালতে

ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার পর এমন নির্দেশ এসেছেন বিচারপতির থেকে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে আরও ৩ হাজার ৯২৯ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

4bb40f1ffbe2a946a4018a45d1847cf1

কলকাতা: শারদীয়া উৎসবেই প্রাথমিকে মিলবে ২৫২ জনের চাকরি। নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগেই তিনি মামলাকারীর আইনজীবী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মধ্যে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই বৈঠক হয়েছিল। তারপর সেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের রিপোর্ট আদালতে জমা পড়ার পর এমন নির্দেশ এসেছেন বিচারপতির থেকে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদে আরও ৩ হাজার ৯২৯ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-পুজো আটকেছে পুলিশ! হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতার দাদা

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৫৩ জন আবেদনকারীকে চাকরি দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অবিলম্বে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতে হবে এই নিয়োগ, এমন নির্দেশ। সেই মাসের ১১ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালত স্পষ্ট করেছিল যে, শারদীয়া উৎসবের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিবিআইকেও রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, তিনি বেআইনি নিয়োগকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যারা ওয়েটিংয়ে আছে তাদের অবিলম্বে চাকরি দিতে চান। তারা অনেক অপেক্ষা করেছে। মামলাও অনেকদিন চলছে। আর সময় নষ্ট করতে চান না। তিনি চান প্রকৃত চাকরিপ্রাথীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে। প্রসঙ্গত সোমবার আরও ৫৪ জনকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল৷ যাঁরা সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।  ওই প্রশ্নের ভিত্তিতে ৬ নম্বর পাওয়া ১৮৫ জন প্রার্থীকে আগেই চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *