নয়াদিল্লি: পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও আদতে অনেকের কাছেই তিনি ঈর্ষার পাত্র৷ কারণ বছর ২৭-এর শান্তনু নাইডু গত দেড় বছর ধরে ভারতের অন্যতম ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সমাজসেবক তথা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন৷ যা খোদ শান্তনুর কাছেই এককথায় স্বপ্নের মতো৷ তাঁর কথায়, ‘‘মিস্টার টাটার অফিসে কাজ করার মাধ্যমে প্রত্যেকটা দিন, প্রত্যেকটা মুহূর্তই আমার কাছে শিক্ষণীয়৷’’ শান্তনু কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন৷
গত ২০১৪ সালে শান্তনু পুনের টাটার কারখানায় অটোমোবাইল ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করতেন৷ সেসময় একটি ঘটনা থেকে তিনি পথচলতি কুকুরদের দুর্ঘটনা রুখতে অভিনব জ্যাকেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন৷ যা দেখে রাতের অন্ধকারে পথচলতি কুকুরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে৷ সেসময় গোটা বিষয়টি জানিয়ে শান্তনু রতন টাটাকে একটি চিঠি লেখেন তিনি৷
পরে রতন টাটার নজরে আসে বিষয়টি৷ প্রথমে কোনও উত্তর না আসলেও একদিন হঠাৎই তিনি ডাক পান রতন টাটার মুম্বইয়ের অফিসে দেখা করার জন্য৷ সেখানে তিনি শান্তনুকে তাঁর কাজে সাহায্য করার জন্য আর্থিক সহায়তা করেন৷ এই ঘটনার পরেও বহুদিন ধরেই তিনি রতন টাটার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে জানান শান্তনু৷
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করে তিনি যখন ফিরে আসেন, তখন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি ঠিক করেছিলেন, পশুচিকিৎসা প্রকল্পে কাজ করবেন৷ কিন্তু, আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায়, মিস্টার টাটা আগে থেকেই তাঁর জন্য অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছেন৷
শান্তনুর কথায়, ‘‘পরিবর্তে ২০১৮ সালে তিনি আমাকে তাঁর অফিসে যোগ দিতে বলেছিলেন৷ তার পর থেকে আমি তাঁর অফিসে কাজ করছি৷’’