কলকাতা: অনেকে আশা ছেড়ে দেন, এরাও হয়তো দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য অন্য কথা বলছিল। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন এজলাস ঘুরছিলেন ১৫ জন শিক্ষক। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের কাঙ্ক্ষিত নিয়োগ হচ্ছিল না। অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি পেলেন তারা। রেখা রায় ,শবনম আরা, রূপালী বেজ সহ ১৫ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এই সকলের অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েও তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। নবম-দশম শ্রেণির এসএলএসটির ইতিহাস বিষয়ে একটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরিপ্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দেয়নি বলে অভিযোগ। পরে এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল যার তদন্ত করছে সিবিআই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। এরপর ওএমআর শিট প্রকাশ পেতে আসল তথ্য সামনে আসে। ২০২২ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টের নির্দেশে ওএম আর সিট প্রকাশ করে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পঞ্চায়েত ভোটে ভিন্ন দলে ভিন্ন প্যাচ তৃণমূলের দাপট, বিজেপি সতর্ক, বাম-কংগ্রেস ময়দানে” width=”853″>
পরবর্তী সময়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন এই শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত করে এবং সুপারিশপত্র ইস্যু করে। বর্তমানে ১৫ জনকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের স্কুলে যোগদান করানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন মামলার শুনানি পর্বে আবেদনকারীদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশ্ন ছিল, “গান্ধী আরউইন চুক্তি কখন সম্পাদিত হয়?” এ,বি,সি,ডি চারটি উত্তর দেওয়া ছিল। মামলাকারীরা উত্তর দিয়েছিলেন গান্ধী আরউইন চুক্তি সম্পাদিত হয় মার্চ ১৯৩১ সালে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় মামলাকারীরা ভুল উত্তর দিয়েছে। পরেও তারা কখনই মানতে চাননি যে মামলাকারীরা সঠিক উত্তর দিয়েছেন।