নয়াদিল্লি: লকডাউনের জেরে আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়বে দেশ। কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু মানুষ। এমন আশঙ্কা একাধিকবার উঠে এসেছিল গবেষণায়। সেই সম্ভাবনাই কি সত্যি হতে চলেছে? সেন্টার ফর দ্য মনিটারিং অফ ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই) জানিয়েছে, ভারতে লকডাউনের ফলে ইতিমধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ১২.২ কোটি মানুষ। তৃতীয় দফার লকডাউন এখনও চলছে। অদূর ভবিষ্যতে কোন সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে দেশবাসী, তা হয়তো সংস্থাটির পরিসংখ্যান দেখলে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।
মার্চের শেষ থেকে এই দেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। বর্তমানে দ্বিতীয় দফার সময়সীমা অতিক্রম করে তৃতীয় দফায় পড়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে ব্যবসা বা চাকরির ক্ষেত্রে ভয়াবহ সমস্যার মুখে পড়ছেন দেশবাসী। কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কাটার মতো সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বহু সংস্থার বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ভারতে চাকরির হালহকিকত নিয়ে গবেষণা করেছে সেন্টার ফর দ্য মনিটারিং অফ ইন্ডিয়ান ইকনমি সংস্থাটি।
তাদের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত এপ্রিল মাসে ১২.২ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই দেশে কর্মহীন হওয়ার হার প্রায় ২৭.১ শতাংশ। সিএমআইই-এর তরফে মহেশ ভ্যাস জানিয়েছেন, মানুষের এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সমাজের অসহায়তাকে চিহ্নিত করে। অসংগঠিত কর্মীদের ক্ষেত্রে লকডাউন যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে, সেই কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। ইনকিউবের তরফে অর্থনীতি বিশ্লেষক ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ভারতীয় অর্থনীতির পতন যেভাবে শুরু হয়েছিল, তাতে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম চলতি বছরের শেষে ৪-৫ কোটি কর্মী কাজ হারাবেন। কিন্তু করোনার জেরে তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।' এছাড়াও অর্থনীতিবিদ প্রণব সেন বলেছেন, 'অন্তত ৫ কোটি মানুষ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি মিটলেও অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়।'