ব্যর্থ কেন্দ্রের শিক্ষানীতি? মার্চেই বেকারত্বের পথে ১২০০ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক

নিরুপায় হয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা 

নয়াদিল্লি: করোনা আবহে ২০২০ সালে নতুন শিক্ষা নীতি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এমনকি জাতীয় এই শিক্ষা নীতিকে গোটা বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা সংস্কার বলেও ব্যাখ্যা করেছেন সংসদীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। কিন্তু এই আবহেই এবার দেশ জুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ হারাতে বসেছেন একদল মানুষ। কেন্দ্রীয় নীতি তাঁদের কতটা সাহায্য করতে পারবে উঠে গেছে সেই প্রশ্নও।

দেশের গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটার উদ্দেশ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে শুরু হয়েছিল একটি প্রকল্প। তাতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় বন্ধের মুখে। পরিস্থিতি এমন, যে চলতি মাসের শেষেই গ্রামাঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে কাজ হারাতে চলেছেন অন্তত ১২০০ শিক্ষক শিক্ষিকা। দেশের নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকার অভিযোগের আঙুল উঠেছে কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতির দিকে।

জানা গেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃক সমর্থিত ওই প্রকল্পের নাম টেকনিক্যাল এডুকেশন কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম (TEQIP) । ২০০২ সালের ডিসেম্বর থেকে ভারতের মাটিতে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার বিকাশ ঘটানোই ছিল এর লক্ষ্য। কিন্তু চলতি বছরের মার্চেই শেষ হচ্ছে এটি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে অনুরূপ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে, যার নাম হবে মেরিট (MERITE) প্রজেক্ট। কিন্তু যতদিনে তার ব্যবস্থা করা যাবে, ততদিনে এই ১২০০ শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে রাখঢাক না করেই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাবেল গুহরায় নামক এক ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষক। তিনি বলেছেন, “একটা পুরোনো প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে না যখন, তখন আর এই সরকার নয়া শিক্ষা নীতির কথা কেন বলছে?” এ ব্যাপারে ২৫০-র বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা সমাধান সূত্র চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও জানা গেছে সূত্রের খবরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *