কলকাতা: সব বাড়িতেই প্রায় প্রতি মাসে কিছু না কিছু ওষুধ কেনা হয়। এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের ওষুধের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকতে হয়। অনেকেই তাই স্থানীয় দোকান বা অনলাইন থেকে প্রায় প্রতি মাসে ওষুধপত্র কেনেন। কিন্তু ওই সব ওষুধপত্র জাল বা নকল কিনা কী করে বুঝবেন? এখন, অনেকেরই মনে হতে পারে চিকিৎসক বা ওষুধের কারবারিরা ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে ‘খাঁটি’ ওষুধ চেনা কি আদৌ সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নকল ওষুধ চিনে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। তাহলে চলুন, এই ভিডিওর মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘WHO’-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, জাল বা নকল ওষুধ চেনার উপায়গুলি জেনে নিন…
প্রথমে জানুন, ওষুধের গায়ে লাগানো কিউআর কোডের ব্যবহার: এক্ষেত্রে কিন্তু মেডিক্যাল স্টোর বা অনলাইনে কেনা ওষুধের সব তথ্য স্ক্যান করলেই চলবে। জেনে রাখুন, বর্তমানে সরকার ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানে QR কোড বসানো বাধ্যতামূলক করায় ড্রাগ প্রাইসিং অথরিটি প্রস্তুতি নিয়েছে ৩০০টি ওষুধে কিউআর কোড লাগানোর।
‘ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড’ কী? যে কোনও ওষুধের মোড়কের গায়ে তার ‘ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ দানা বাঁধলে, ওষুধের ‘ইউনিক অথেন্টিকেশন কোড’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে এসএমএস করুন। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি অথেনটিকেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।
লিক্যুইড ও সলিড ওষুধের গঠন: সিরাপ, টনিকের মত বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলে সিল বা প্যাকেজিংয়ে কোথাও কোনও গলদ আছে কিনা, বড়ি, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে ওষুধের কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কিনা, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়োর পরিমাণ আগের তুলনায় কম বা বেশি আছে কিনা, ওষুধের রঙে কোনও ফারাক আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিতে হবে।
এ ছাড়াও, ওষুধ খাওয়ার পর যদি শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়, অ্যালার্জি হলে একটুও দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে সেই ওষুধটি চিকিৎসককে দেখান।