নয়াদিল্লি: বিশ্বের মানুষ যখন ভেবে নিয়েছিল যে করোনার দাপট হয়তো এবার শেষের পথে ঠিক তখনই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা একে ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রামক আগেই বলে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, অতি অল্প সময়ে এই প্রজাতি অনেক বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে ফেলেছে। গোটা বিশ্বে এখন ত্রাস ছড়িয়ে ওমিক্রন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ এত ক্ষমতাবান কী করে হয়ে উঠল করোনার এই প্রজাতি? তার উত্তর হয়তো এবার মিলল।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির বিশাল গ্রানাইট মূর্তি, টুইটে জানালেন নমো
ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে বিভিন্ন সময়ে গবেষণা চলেছে এবং এখনও চলছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছিল যে, ওমিক্রনের এত দ্রুত সংক্রমণের কারণ এই ভাইরাসের ভাইরাল লোড। ডেল্টা বা অন্য প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রনের ভাইরাল লোড অনেক বেশি। তাই এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। আবার একই রকম অন্য একটি গবেষণা করে গবেষকরা দাবি করেছিলেন যে, অন্য প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রন মানুষের শরীরে বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরে মারাত্মক পরিমাণে বেড়ে যায়। তাই এত শক্তিশালী সে। কিন্তু আপাতত এই প্রজাতির এত ক্ষমতা সম্পর্কে গবেষণা করে জানা গিয়েছে, এই প্রজাতির এত শক্তিশালী হওয়ার প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব। মনে করা হচ্ছে, যেহেতু ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু তাই অনেকেই এর সংক্রমণকে পাত্তা দেননি। অবহেলা করেছেন। তাই এত বেড়ে গিয়েছে এর সংক্রমণ।
গবেষকদের ব্যাখ্যা, মূলত ওমিক্রন আক্রান্ত হলে তার লক্ষণ পাঁচ দিনের মাথায় দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে আক্রান্ত হওয়া অবস্থাতেই বাইরে বেরিয়েছেন। যার ফলে জ্ঞানত বা অজ্ঞানত অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বেশি করে। আবার কেউ উপসর্গ বুঝতে পেরেও ইচ্ছাকৃত বাইরে মেলামেশা করেছেন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে। সেই কারণেও এই প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে।